২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি (Pahalgam Attack) হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছে। এরপরেই কাশ্মীরে সেনা সক্রিয়তা ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে (Pahalgam Attack) । জঙ্গিদের (Pahalgam Attack) পাশাপাশি জঙ্গিদের সাহায্যকারী ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে (Pahalgam Attack) বড় সাফল্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। নাকা চেকিংয়ের সময় দুই জন সন্দেহজনককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে (Pahalgam Attack) ।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমনে বড় সাফল্য সেনার বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, গ্রেনেড ও ১৫ রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং জঙ্গি সংযোগের সম্ভাবনায় শুরু হয়েছে বিস্তারিত তদন্ত। তাদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা জানতেই এখন চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
পহেলগাঁওয়ে হামলার পরই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, সন্ত্রাস দমনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। পালটা পদক্ষেপ ঘোষণা করে ইসলামাবাদও। এর জেরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
পহেলগাঁও হামলার পর জঙ্গিদের সন্ধানে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে সেনার চিরুনি তল্লাশি। এর মধ্যেই রাজস্থানে ধরা পড়েছে দুই পাক গুপ্তচর। পাশাপাশি, পাঞ্জাব সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে এক পাক নাগরিক। পরে তাকে পাঞ্জাব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সব মিলিয়ে, সীমান্ত থেকে কাশ্মীর উপত্যকা—সর্বত্র বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জঙ্গি নেটওয়ার্ক ধ্বংসে একাধিক বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র।