সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে (Pahalgam Attack) কড়া অবস্থান তুলে ধরতে ভারত সরকার এবার সাতজন সাংসদকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক মহলে পহেলগাম জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) প্রমাণ এবং ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন।
এই প্রতিনিধি দলে আছেন (Pahalgam Attack) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদ, অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও কূটনীতিকরা। সাতটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন শশী থারুর (কংগ্রেস),রবি শঙ্কর প্রসাদ (বিজেপি), সঞ্জয় কুমার ঝা (জেডিইউ), বৈজয়ন্ত পাণ্ডা (বিজেপি), কনিমোঝি করুণানিধি (ডিএমকে), সুপ্রিয়া sule (এনসিপি), শ্রীকান্ত একনাথ শিন্ডে (শিবসেনা)।
কোন সাংসদ কোন দেশে যাবেন তা ঠিক হয়েছে:
এই সাংসদরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশে গিয়ে বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রমাণ তুলে ধরবেন। এই প্রতিনিধি দলের তালিকা শনিবার প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দল আমেরিকা, পানামা, গুয়ানা, ব্রাজিল, কলোম্বিয়া যাবেন। বিজেপি সাংসদ বৈজয়ন্ত পান্ডার নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দল সন্ত্রাসী হামলায় পাক যোগের প্রমাণ নিয়ে সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরিন, আলজেরিয়া। বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দল ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স,ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইতালি ও ডেনমার্কে যাবেন। সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝার নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দল যাবেন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, লাইবেরিয়া, কঙ্গো, সিরে লিওনে। অন্যদিকে, কানিমোঝি করুণানিধির নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দল স্পেন, গ্রিস, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়া, রাশিয়ায় যাবে। অন্যদিকে, সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল মিশর, কাতার, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন।
অপারেশন সিন্ধুর: প্রতিশোধের ‘প্রেসিশন স্ট্রাইক’
ভারত ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটানো পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালায়।
এই হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও তার ৪ ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন। হামলা করা হয়েছে পাকিস্তানের রফিকি (শোরকোট, ঝাং), মুরিদ (চাকওয়াল), নূর খান (চাকলালা, রাওয়ালপিণ্ডি), রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর ও চুনিয়ান (কাশুর) বিমানঘাঁটিতে। এছাড়াও স্কার্দু, ভোলারি, জেকোবাবাদ ও সরগোধা-র এয়ারবেসগুলোতেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মাত্র ২৪ মিনিটের অপারেশনে ভারত নয়টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায়, যার মধ্যে ৪টি ছিল পাকিস্তানে এবং ৫টি PoK-তে। এই অভিযানে লস্কর-ই-তইবা (LeT) এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM)-এর ভবিষ্যতের হামলার পরিকল্পনা বানচাল করে দেওয়া হয়।