ঠিক দুই মাস আগে, জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁও অঞ্চলে (Phalagam Attack) পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা এক নির্মম হামলা চালিয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করেছিল। সেই ভয়াবহ ঘটনার তদন্তে বড় সাফল্য পেয়েছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। রবিবার, NIA ঘোষণা করেছে যে তারা দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা ওই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছিল (Phalagam Attack)।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তির নাম পারভেজ আহমদ জোথার এবং বশির আহমদ জোথার। দু’জনই অনুশোচনার সাথে তদন্তকারীদের সামনে স্বীকার করেছেন যে, তারা তিনজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসীকে পাহেলগাঁওর হিল পার্ক (Phalagam Attack) এলাকায় একটি অস্থায়ী ঢোক বা কুঁড়ে ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
এনআইএ জানিয়েছে, ওই তিন সশস্ত্র জঙ্গি ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-তৈবা (LeT) সংগঠনের সদস্য এবং তারা ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হিন্দু পর্যটকদের (Phalagam Attack) গুলি করে হত্যা করেছিল। এই হামলায় নিহত হন ২৫ জন পর্যটক ও একজন স্থানীয় নাগরিক। আহত হন আরও ১৬ জন।
এনআইএ তাদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (UAPA)-এর ১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা করেছে।
হামলার (Phalagam Attack) পর ভারত কড়া জবাব দেয়। ৭ মে চালানো হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যেখানে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নিশানা করে বিমান হামলা চালায়। এতে ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয় বলে জানা যায়।
এরপর ভারত (Pahalgam Attack) পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাতেও আঘাত হানে— যার মধ্যে অন্যতম ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত নূর খান এয়ার বেস। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বারবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং পাঞ্জাব-রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তে গোলাবর্ষণ চালায়।
এই সংঘর্ষ ১০ মে থেমে যায়, যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও (Director General of Military Operations) ভারতীয় সেনাপ্রধানকে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায় এবং উভয় দেশই তাতে সম্মত হয়।
পরে ভারত কড়া হুঁশিয়ারি দেয় যে, পাকিস্তান আবার যদি এ ধরনের হামলার চেষ্টা করে, তাহলে তার জবাব হবে আরও কঠিন ও ভয়ংকর।