গণহত্যা, নৃশংসতা আর বিভৎসতার ঘটনার পর এখনও থমথমে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam attack)। কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা উপত্যকা (Pahalgam attack)। সেনা ও সিআরপিএফ প্রতিটি মোড়ে চালাচ্ছে নাকা চেকিং, চলছে কড়া নজরদারি (Pahalgam attack)।
এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। বুধবার মধ্যরাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তলবে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয় নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিক সাদ আহমেদ ওয়ারাইচকে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান হাই কমিশনে নিযুক্ত প্রতিরক্ষা, নৌ ও বায়ুসেনার তিন উপদেষ্টাকেই ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ বা অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করেছে ভারত। কূটনৈতিক মহলে এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকেই ধাপে ধাপে একাধিক বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত কার্যত বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আটারি সীমান্ত ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতে যাঁরা পাকিস্তানের ভিসায় রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নয়া দিল্লিতে পাক দূতাবাসের আধিকারিকদেরও দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের স্টাফ সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। ইসলামাবাদের দিকেও চলছে টানা নজরদারি।
এই পরিস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এটি মূলত পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির বৈঠক, যেখানে ভারতীয় সিদ্ধান্তগুলির প্রভাব এবং সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কূটনৈতিক সম্পর্ক তো বটেই, ভারতের পদক্ষেপে দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কেও বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে। সেই অভিঘাত সামলাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান।
এদিকে, বৈসরনের ভয়াবহ ঘটনার তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে, পর্যটকদের বের করে দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও থেকে। নতুন করে কোনও বুকিং গ্রহণ করা হয়নি, যাঁদের বুকিং ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। গোটা উপত্যকা আপাতত নজরদারির ঘেরাটোপে।
জঙ্গি হামলার এই ঘটনায় শুধু উপত্যকাই নয়, কাঁপছে গোটা উপমহাদেশের কূটনৈতিক আবহ। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা এখন নজরে রয়েছে গোটা বিশ্বের।