পাহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) ২৬ নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশজুড়ে। এই হামলার (Pahalgam Attack) পেছনে পাকিস্তানের সরাসরি মদতের অভিযোগ তুলে এবার কূটনৈতিক আক্রমণের পথে হাঁটছে ভারত। সূত্রের খবর, এক সর্বদলীয় সাংসদ প্রতিনিধি দল শীঘ্রই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি আউটরিচ প্রোগ্রামে অংশ নেবে, যেখানে তারা বিভিন্ন দেশের সরকার ও কূটনৈতিক মহলের সামনে (Pahalgam Attack) পাকিস্তানের ভূমিকা তুলে ধরবে।
এই বিশেষ কূটনৈতিক মিশনে থাকছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাতজন সাংসদ। সূত্র অনুযায়ী, এই দলে থাকছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং মণীশ তেওয়ারি। বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, বিজু জনতা দলের সস্মিত পাত্র, কংগ্রেসের অমর সিং এবং শিবসেনারই শ্রীকান্ত শিন্ডে এই দলে রয়েছেন। অবশ্য আলোচিত সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসির নাম এই তালিকায় নেই, যদিও তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে উদ্যোগী ভারত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলির কাছে পাকিস্তানের মুখোশ উন্মোচনের জন্য এই কূটনৈতিক অভিযান শুরু করেছে। পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের পোষণ ও মদতদানের বিষয়টি সরাসরি প্রমাণসহ তুলে ধরা হবে। এই মিশনের মূল লক্ষ্য হল — বিশ্বজুড়ে এক অভিন্ন সুরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেওয়া।
সূত্র বলছে, সাংসদদের এই প্রতিনিধি দল বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে ভারতের হাতে থাকা তথ্য ও প্রমাণ তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে ভারত চাইছে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর আরও তীব্র করা এবং সীমান্তপারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গঠন করা।
শশী থারুরের নেতৃত্বে কূটনৈতিক প্রচার
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, যিনি সংসদের বিদেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, সম্ভবত এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। থারুর এর আগেও প্রকাশ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুনির্দিষ্ট জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলাকে সাহসী ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই দাবিকেও নস্যাৎ করেন, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি তিনি করিয়েছেন। থারুর বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘বোঝাপড়া’ সরাসরি হয়েছে, তৃতীয় কোনও পক্ষের মধ্যস্থতা নয়।
শেষ কথা
এই সর্বদলীয় কূটনৈতিক প্রচারাভিযান স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত এখন কেবল সীমান্তে নয়, বিশ্ব কূটনীতির ময়দানেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের প্রমাণ দিয়ে তাকে একঘরে করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।