পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে (Pahalgam Attack), যা পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কাশ্মীরে এমন পর্যটক-লক্ষ্য করে হামলা আগে কখনও হয়নি (Pahalgam Attack), আর এবার টার্গেট করা হয়েছে হিন্দু পর্যটকদের—যা সুনির্দিষ্ট ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করছে (Pahalgam Attack)।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি হামলার মূল পরিকল্পক ও নিয়ন্ত্রক ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ। হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্করের শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স (TRF)। হামলায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগ জঙ্গি ছিল পাকিস্তানি, যাদের সহযোগিতা করেছে কাশ্মীরের স্থানীয় জঙ্গিরা ও ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কাররা।
এই জঙ্গি গোষ্ঠী কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় মডিউল হিসাবে কাজ করছে। এর আগেও সোনমার্গ, বুটা পাথরি এবং গান্দেরওয়ালে হামলার পেছনেও ছিল এই গোষ্ঠীর হাত। সোনমার্গের ঘটনার পরে লস্করের ‘এ-প্লাস’ ক্যাটেগরির জঙ্গি জুনেইদ আহমেদ ভাট-কে নিকেশ করা হলেও, বাকিরা পালিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, হামলার পর জঙ্গিরা আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায়, এবং পাক হ্যান্ডলারদের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে। এই পুরো অপারেশন সরাসরি হাফিজ সইদ এবং তাঁর ডানহাত সইফুল্লার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
গোয়েন্দাদের মতে, এই জঙ্গিদের শুধু মগজধোলাই নয়, তাদের অস্ত্র ও কৌশলগত প্রশিক্ষণ সরবরাহ করে পাকিস্তানি সেনা এবং আইএসআই। কাশ্মীরি তরুণদের মগজধোলাই করে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত করে নতুন হামলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এই হামলা থেকে স্পষ্ট, পাকিস্তান জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে কাশ্মীরকে অশান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত। তবে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যেই প্রতিটি জঙ্গি নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে, এবং গোটা অপারেশন নস্যাৎ করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।