পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা (Pahalgam Attack) নিয়ে এবার মুখ খুললেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ (Pahalgam Attack), এই হামলার নেপথ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের মদত থাকতে পারে। তাঁর কথায় (Pahalgam Attack), “কোনও না কোনও সাহায্য না থাকলে এই ধরনের জঙ্গি হামলা সম্ভব নয়। জঙ্গিরা কোথা থেকে এল, কীভাবে এল— সেটা ভেবে দেখলেই বোঝা যায়, ভিতর থেকেই সহযোগিতা মিলেছে।”
হামলাকে ‘দুঃখজনক’ ও ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে অভিহিত করেন তিনি। ফারুক বলেন, “যতক্ষণ না প্রকৃত দোষীদের ধরা যাচ্ছে, ততক্ষণ নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এটা একদিনের ঘটনা নয়। এর আগেও হামলা হয়েছে উরি, পুলওয়ামা, পাঠানকোট, রাজৌরি ও পুঞ্চে। যারা এসব ঘটনার পিছনে ছিল, তারা এখানেই বসে আছে।”
পাকিস্তানের দিকেও সরাসরি আঙুল তোলেন তিনি। ফারুকের অভিযোগ, “আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসছেন কাশ্মীরে। কিন্তু পাকিস্তানের সেটা পছন্দ নয়। ১৯৪৭ সাল থেকেই তারা আমাদের অস্থিরতা ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদের রউফ আসগরের যোগ থাকতে পারে, যিনি সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই। এই মাসুদ আজহারকেই ১৯৯৯ সালের কান্দাহার বিমান হাইজ্যাকের সময় ভারতের বাধ্য হয়ে মুক্তি দিতে হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ফারুক আবদুল্লা বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, ওকে (আজহারকে) ছাড়া উচিত নয়। কিন্তু কেউ শোনেনি। অনেক কষ্টে যাকে ধরা হয়েছিল, তাকে শেষমেশ বিমানে করে ছেড়ে দেওয়া হল। পরে পাকিস্তান নিয়ে গিয়ে তাকে আরও ভয়ংকর করে তুলল। আজ যে হামলা হচ্ছে, তাতে তার সম্পৃক্ততা না থাকার কোনও গ্যারান্টি নেই।”
এই মন্তব্য ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল ও নিরাপত্তা বিষয়ক মহল।