ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)-এ পাকিস্তান দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোপন সামরিক অভিযানে (Operation Sindoor) পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শীর্ষ প্রতিরক্ষা সূত্র। এই অভিযানে (Operation Sindoor) অন্তত ১৭০ জঙ্গি ও ৪২ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি ভারতের। পাকিস্তানের বহু সামরিক ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রহ্মোস মিসাইল হামলায়।
সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে বাহাওয়ালপুরের জইশ সদর দফতরে, যেখানে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মাসুদ আজহারের পরিবারও ছিল বলে জানা গেছে। ৯ ও ১০ মে সর্গোধা, নূর খান ও রহিম ইয়ার খান বিমানঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ভারতীয় সেনার মহিলা পাইলটরাও ছিলেন এই গোপন অভিযানে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ মে বিকানে এক আবেগঘন বক্তৃতায় বলেন, “পহেলগামে গুলি চলেছে, কিন্তু আঘাত লেগেছে ১৪০ কোটির হৃদয়ে।” তিনি জানান, ২২ মিনিটে ভারত ধ্বংস করেছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। “যারা আমাদের সিঁদুর মুছে ফেলতে চেয়েছিল, তাদের ধূলিসাৎ করে দিয়েছি,” বলে মোদীর হুঁশিয়ারি।
ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর শেষ নয়, সাময়িকভাবে স্থগিত। প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি— পাকিস্তান এতটাই অপমানিত হয়েছে যে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠবে। ভারতের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত করা হয়েছে শুধুই ‘ফেস সেভিং’ বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মহল। এই সামরিক কড়া জবাবের পেছনে ডোকলাম সংকটের পর নেওয়া একাধিক কৌশলগত সিদ্ধান্তের বড় ভূমিকা ছিল বলেও দাবি করেছে সূত্র।
ভারত কার্যত জানিয়ে দিল, নতুন ভারতের কাছে সিঁদুর শুধু সাজ নয়, শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন।