‘অপারেশন সিন্দুর’-এর (Operation Sindoor) পর পাকিস্তান ভারতীয় শহরগুলিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে তারা ব্যর্থ হয় (Operation Sindoor)। ভারতীয় সেনা ৬০০-রও বেশি পাকিস্তানি ড্রোন শনাক্ত করে ধ্বংস করেছে, সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে (Operation Sindoor)।
সীমান্তজুড়ে জোরদার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
পাকিস্তানের ধারাবাহিক ড্রোন অনুপ্রবেশের জবাবে, ভারত সীমান্তজুড়ে (LoC থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত) ১০০০-রও বেশি অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান মোতায়েন করে। পাশাপাশি, ৭৫০-র বেশি শর্ট-রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (SAM) বসানো হয়, যাতে বড় মাপের আকাশপথের হুমকি রোখা যায়। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যায় আকাশ তীর এবং এয়ারফোর্সের IACCS (Integrated Aerial Command and Control System) সংযুক্ত হওয়ার পর। কোনও ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভারতে ঢুকলেই IACCS সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পাঠায় আকাশ তীর কমান্ড পোস্টে, যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোন অস্ত্র ব্যবহার করে তাকে ধ্বংস করা হবে। এই তথ্য আদান-প্রদান এতটাই দ্রুত হয় যে, প্রতিটি হুমকির উপযুক্ত জবাব মুহূর্তেই দেওয়া সম্ভব হয়।
ভারতের প্রধান প্রতিরক্ষা অস্ত্র
L-70 এয়ার ডিফেন্স গান:
সুইডেন থেকে ১৯৭০-এর দশকে কেনা এই গান প্রতি মিনিটে ৩০০-এর বেশি গুলি ছুঁড়তে পারে। ৩-৪ কিমি পর্যন্ত কার্যক্ষম। এখন এতে হাই-রেজল্যুশন সেন্সর, ক্যামেরা ও রাডার লাগানো হয়েছে— দিন-রাত সমানভাবে কাজ করতে পারে।
Zu-23mm গান:
রাশিয়া থেকে আনা এই গান প্রতি মিনিটে দুই ব্যারেল মিলিয়ে ৩২০০–৪০০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে পারে। হাতে চালাতে হয় এবং ২–২.৫ কিমি পর্যন্ত কার্যক্ষম।
শিল্কা গান সিস্টেম:
দুটি Zu-23mm গান মাউন্ট করা থাকে ট্র্যাকচালিত গাড়ির ওপর। প্রতি মিনিটে প্রায় ৮০০০ রাউন্ড গুলি ছোড়া সম্ভব। এই যান যে কোনও জায়গায় দ্রুত পৌঁছে প্রতিরক্ষা দিতে পারে।
কী হয়েছিল অপারেশন সিন্দুরে?
৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায়। তার ঠিক দু’সপ্তাহ আগে, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক, বেশিরভাগই পর্যটক, হত্যা করে।
ভারতের এই পাল্টা অভিযানের পর পাকিস্তান একাধিক শহর— যেমন জয়সালমির, অমৃতসর, শ্রীনগর ও বারামুল্লা— লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা শুরু করে। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত সফলভাবে ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে দেয়।
শান্তি আলোচনায় ফিরল পাকিস্তান
১০ মে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চেয়ে যোগাযোগ করে। দু’দেশের সামরিক স্তরে আলোচনা হয় এবং শেষ পর্যন্ত সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চালু হয়।
এই অপারেশন দেখিয়ে দিয়েছে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি কতটা আধুনিক ও প্রস্তুত। আর যেকোনও হুমকির বিরুদ্ধে ভারত এখন দ্রুত, কঠোর ও নির্ভুল জবাব দিতে সক্ষম।