ভারতের পাল্টা আক্রমণে কাঁপছে পাকিস্তান। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামের এই সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের বায়ুসেনা ও সামরিক ঘাঁটিগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ভারতের একাধিক সূত্র ও সংবাদমাধ্যম।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নিহত হওয়ার পর ৬ মে রাত থেকে পাকিস্তানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা (Operation Sindoor) শুরু করে ভারত। প্রথমে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলেও, পরে পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাও এই অভিযানের আওতায় আসে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ও প্রতিরক্ষা ইউনিট এই অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে (Operation Sindoor)।
চারদিনের অভিযানে ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি যুদ্ধবিমান, ২টি নজরদারি বিমান, ১০টিরও বেশি সশস্ত্র ড্রোন, ১টি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, এবং অনেক রাডার ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং আধুনিক রাডার প্রযুক্তির সাহায্যে এই সব বিমানকে আকাশেই ধ্বংস করা হয়।
সবচেয়ে বড় সাফল্যের মধ্যে ছিল পাকিস্তানের একটি দামি নজরদারি প্ল্যাটফর্ম ধ্বংস করা, যা প্রায় ৩০০ কিমি দূর থেকে ভারতের ‘সুদর্শন’ নামের স্ট্রাইক অ্যাসেট দিয়ে টার্গেট করা হয়। স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে বিমানটি রাখা হ্যাঙ্গার সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গেছে।
একইসঙ্গে মুলতানে পাকিস্তানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে থাকা সি-১৩০ হারকিউলিস বিমান ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়েছে। রাজস্থান ও জম্মু সীমান্তে পাকিস্তান যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, সেগুলিও ভারত সফলভাবে প্রতিহত করে।
ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের একাধিক এয়ারবেস—যেমন নুর খান, রফিকি, সারগোধা, মুরিদ, সিয়ালকোট, স্কার্দু, জ্যাকবাবাদ প্রভৃতি স্থানে টার্গেটেড স্ট্রাইক করা হয়েছে। পেশোয়ার, হায়দরাবাদ, গুজরাট ও অ্যাটকের মতো জায়গাতেও হামলার প্রমাণ মিলেছে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, ১০ মে বিকেলে পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ ভারতীয় সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান। ভারত শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও জানিয়ে দেয়, ভবিষ্যতে যদি কোনও রকম উস্কানি হয়, তবে আরও জোরদার হামলা চালানো হবে।
ভারতের এই অভিযানে পাকিস্তান যে ধাক্কা খেয়েছে, তা সামাল দিতে বহু বছর লেগে যাবে বলেই মত বিশ্লেষকদের।