পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে ৭ মে ভারত “অপারেশন সিঁদুর” চালায় (Operation Sindoor)। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)। ভারত এই হামলাকে “অবিরোধমূলক” (non-escalatory) বলে ঘোষণা করে (Operation Sindoor) এবং পাকিস্তানকে কোনরকম পাল্টা অভিযানের ব্যাপারে সতর্ক করে (Operation Sindoor)।
তবে পাকিস্তান সেই সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতের বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর উপর। জবাবে ভারতও কড়া পদক্ষেপ নেয়। পাকিস্তানের ভিতরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে দেয়।
ভারত কীভাবে পাকিস্তানকে ফাঁকি দিল
ভারতীয় বায়ুসেনা চমৎকার কৌশলী চাল চালায় — চীনের দেওয়া HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণামূলক কৌশল নেয়।
৯ ও ১০ মে-র মাঝরাতে, ভারত পাকিস্তানের ১১টি বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। তবে এর আগে ভারত পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। কৌশল ছিল: আসল যুদ্ধবিমান না পাঠিয়ে, যুদ্ধবিমানের মতো দেখতে ডামি ড্রোন পাঠানো হয়।
পাকিস্তানের রাডার সেগুলোকে সত্যি যুদ্ধবিমান ভেবে HQ-9 ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় করে ফেলে, যার ফলে তাদের অবস্থান ফাঁস হয়ে যায়। এই ডামি বিমানগুলোর ফাঁদে পড়ে পাকিস্তান তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অবস্থান প্রকাশ করে দেয়।
এরপর ভারত পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে ব্রহ্মোস, স্কাল্প (SCALP), র্যাম্পেজ ও ক্রিস্টাল মেজ (Crystal Maze) ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জোরালো আঘাত হানে। প্রায় ১৫টি লং-রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
পাকিস্তান পিছু হটে, ‘সিজফায়ার’-এর আবেদন জানায়
ভারতের এই সুনির্দিষ্ট, শক্তিশালী হামলার ফলে পাকিস্তানের এয়ার স্ট্রিপ, হ্যাঙ্গার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়। এমনকি সিন্ধ প্রদেশে একটি আকাশে নজরদারি চালানো বিমান (airborne early warning aircraft) ও কয়েকটি ড্রোনও ধ্বংস হয়।
সূত্র বলছে, এটি ছিল ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার। ভারতীয় প্রতিক্রিয়া এতটাই শক্তিশালী ও কার্যকর ছিল যে পাকিস্তান আর নতুন কোনও হামলার পরিকল্পনা করতে সাহস পায়নি। অবশেষে ১০ মে, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন (DGMO) ভারতের DGMO-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান।
ভারত একে “বোঝাপড়া” (understanding) বলে উল্লেখ করেছে, সম্পূর্ণ সিজফায়ার নয়। ভারতের স্পষ্ট বার্তা — অপারেশন সিন্ধূর এখন শুধু “বিরতিতে” আছে, শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে ভারতীয় মাটিতে কোনও জঙ্গি হামলা হলে, সেটাকে “যুদ্ধ ঘোষণার সমান” হিসেবে ধরে নেওয়া হবে এবং কড়া প্রতিক্রিয়া হবে।