পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরীহ পর্যটকের রক্তপাতের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় জবাব দিল ভারত (Operation sindoor)। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে হামলা চালাল ভারতীয় সেনা (Operation sindoor)। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে এই প্রত্যাঘাতকে শুধু সামরিক সাফল্য নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে কূটনৈতিক মহলে (Operation sindoor)।
এই অভিযানের পর দেশজুড়ে উঠেছে ভারতীয় সেনার প্রশংসার জোয়ার। বিরোধী নেতারাও সেনার পাশে দাঁড়িয়ে সমস্বরে জানাচ্ছেন সমর্থন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দৃপ্ত কণ্ঠে জানিয়েছেন, “সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারত।” একই সুরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, “ভারত মাতা কী জয়!” বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আহ্বান, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বের জিরো টলারেন্স দেখানো উচিত।”
প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, যেসব জায়গা থেকে ভারতে হামলার ছক কষা হয়েছিল, সেগুলিকেই নিশানা করা হয়েছে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এর মাধ্যমে। পুরো অপারেশনের উপর সরাসরি নজর রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই অভিযানের পর পরই কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেনার এই সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ বার্তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী-সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা। তাঁদের বক্তব্য, দেশের স্বার্থে সেনার পাশে সবসময় আছে ভারতবাসী।
এই অভিযানে ভারত যেমন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থানকে আরও জোরদার করল, তেমনই দেশের অভ্যন্তরেও তৈরি করল ঐক্যবদ্ধ বার্তা—সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত কখনও নমনীয় নয়।