আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হল গুরুত্বপূর্ণ সর্বদলীয় বৈঠক (Operation sindoor)। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন (Operation sindoor)। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও তুলে ধরেন (Operation sindoor)।
কিরেন রিজিজু জানান, বৈঠকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও একটি চলমান সামরিক অভিযান। সেই কারণে এখনই বিস্তারিত তথ্য বা নির্দিষ্ট ব্রিফিং দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে সেনার কৌশলগত স্বার্থেই কিছু বিষয় গোপন রাখা জরুরি।”
অপারেশনের পটভূমি:
উল্লেখযোগ্যভাবে, ৬ ও ৭ মে-র মধ্যরাতে মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফলভাবে আঘাত হানে। এই প্রতিঘাত ছিল পহেলগাঁওয়ের মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার জবাব, যেখানে পাকিস্তানের মদতে ইসলামি জঙ্গিরা ধর্ম জিজ্ঞেস করে পর্যটকদের হত্যা করেছিল। সেই হামলায় বহু পরিবারের সিঁদুর মুছে গিয়েছিল—ভারতীয় সেনার অপারেশন সেই বেদনারই বদলা।
আক্রমণের জায়গাগুলি:
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে দুটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ, কোটলি, গুলপুর, ভীমবের, চাক আমরু ও শিয়ালকোট—এই আটটি জায়গায় ভারতীয় সেনা অভিযান চালায় এবং মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, ভারতীয় বাহিনীর এই হামলায় কোনও পাকিস্তানি সেনা কিংবা অসামরিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এটি ছিল নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক প্রতিঘাত।
পাকিস্তানের শেলিংয়ে প্রাণহানি:
তবে পাল্টা পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৩ জন ভারতীয় নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন সাহসী সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রতিরক্ষা বাহিনী।