ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধ করছিল, কিন্তু চীন তার সমস্ত শক্তি দিয়ে পাকিস্তানকে সহায়তা দিচ্ছিল—এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিংহ। দিল্লিতে FICCI আয়োজিত ‘নিউ এজ মিলিটারি টেকনোলজিস’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করেন চীন-পাকিস্তান আঁতাতের (Operation Sindoor) চিত্র।
তিনি জানান, ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা এই চারদিনের সংঘর্ষের সময় যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে DGMO স্তরের আলোচনা (Operation Sindoor) চলছিল, তখন চীন পাকিস্তানকে ভারতের সেনা গতিবিধি ও কৌশল সংক্রান্ত “লাইভ আপডেট” দিয়ে যাচ্ছিল। তাঁর কথায়, পাকিস্তান ছিল চীনের “লাইভ ল্যাব”—চীন তার অস্ত্রগুলো অন্য অস্ত্রের বিরুদ্ধে পরীক্ষা করার জন্য পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে (Operation Sindoor)।
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধে শুধু পাকিস্তান নয়, চীন ও তুরস্কও ছিল ভারতের বিরুদ্ধে সক্রিয় (Operation Sindoor)। পাকিস্তান ছিল সম্মুখে, কিন্তু ৮১% পাকিস্তানি সেনা অস্ত্রই ছিল চীনা। সেই সঙ্গে তুরস্কও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে—বিশেষত ড্রোন সরবরাহের মাধ্যমে, যা ভারতের বিভিন্ন শহর ও সেনা স্থাপনায় হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
তবে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা অধিকাংশ মিসাইল ও ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়, ফলে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিংহ বলেন, “এই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার টার্গেট নির্বাচন ছিল প্রযুক্তিগত ও মানব গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে। মোট ২১টি টার্গেট চিহ্নিত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৯টিতে আঘাত হানা হয়। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, একটি সমন্বিত ত্রিসেনা অভিযান চালিয়ে এই হামলা করা হবে, যাতে শত্রুর কাছে শক্ত বার্তা যায় যে ভারত সত্যিই একটি ইন্টিগ্রেটেড ফোর্স।”
তিনি বলেন, “আমাদের সবসময়ই থাকা উচিত ‘স্কেল অব এসক্যালেশন’-এর শীর্ষে। যখন আমাদের সামরিক উদ্দেশ্য পূরণ হয়, তখনই যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ যুদ্ধ শুরু করা সহজ, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।”
১০ মে ভারত যখন পাকিস্তানের ১১টি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ চালায়, তখন পাকিস্তানের DGMO ভারতীয় সহপদস্থ আধিকারিককে ফোন করে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানান। পরবর্তীতে ভারত ও পাকিস্তান সাময়িকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধ করার একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরে জানান, “অপারেশন সিন্দুর এখনও শেষ হয়নি, এটি আপাতত বিরতিতে রয়েছে।”
এই ঘটনার পর দেশজুড়ে আরও একটি বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে—চীনের ভূমিকাকে ঘিরে। পাকিস্তানকে “সর্বোচ্চ সহায়তা” দেওয়ার পাশাপাশি, চীন সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সাহায্য দিয়ে যুদ্ধকে জটিল করে তুলেছিল।