নয়ডার একটি বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে (Old age home) ঘটে চলছিল অমানবিক নির্যাতন। এবার সেই নির্মম চিত্র প্রকাশ্যে এল রাজ্য মহিলা কমিশন, সমাজকল্যাণ দফতর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ হানার পর (Old age home) । সেক্টর ৫৫-র ‘আনন্দ নিকেতন বৃদ্ধ সেবা আশ্রম’-এ এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে, যাঁরা চরম অবহেলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন কাটাচ্ছিলেন।
এই হানা চালানো হয় একটি ভাইরাল ভিডিওর ভিত্তিতে, যেখানে দেখা যায় এক বৃদ্ধা কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় একটি ঘরে বন্দি রয়েছেন। ভিডিওটি পৌঁছায় লখনউতে সমাজকল্যাণ দফতরের কাছে। তারপরেই নির্দেশ আসে আশ্রমে (Old age home) অভিযান চালানোর।
অভিযানে দেখা যায়, বৃদ্ধ পুরুষদের (Old age home) রাখা হয়েছিল অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে বেসমেন্টে। অনেকের গায়ে ছিল মল-মূত্রে ভেজা জামাকাপড়। মহিলা আবাসিকদের অবস্থাও ছিল ভয়াবহ। তাদের অনেকেই ছিল মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত।
ঘটনার সময় আশ্রমে এক নারী নিজেকে নার্স (Old age home) বলে দাবি করেন, কিন্তু পরে জানা যায় তিনি মাত্র দ্বাদশ শ্রেণি পাস। এমনকি আশ্রমে কোনও প্রশিক্ষিত নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী ছিল না।
এত কিছুর পরেও আশ্রম কর্তৃপক্ষ (Old age home) প্রতিটি আবাসিকের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করত বলে অভিযোগ। আশ্রমে প্রবেশের জন্য ‘দান’ বাবদ নেওয়া হত ২.৫ লক্ষ টাকা, সঙ্গে মাসে ৬,০০০ টাকা করে খরচ। অথচ, পরিষেবা ছিল শোচনীয়।
বেশ কিছু পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা প্রথমে পুরো বিষয়টি স্বীকার করতেই চাইছিল না। অনেকে দাবি করেন, তাদের আত্মীয় স্বাভাবিকভাবেই আশ্রমে আছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্য মহিলা কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় এবং বহু গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়ে। এরপরেই আশ্রম সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং সব আবাসিককে সরকারি স্বীকৃত বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
মহিলা কমিশন ও জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আশ্রম পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।