ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরে কলেজ চত্বরে ঘটে গেল লোমহর্ষক ঘটনা। ফকির মোহন অটোনোমাস কলেজে বি এড পাঠরত এক ছাত্রী অধ্যক্ষের ঘরের সামনে নিজেকে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই ছাত্রীর গায়ে ৯০ শতাংশের বেশি আগুন লেগেছে। বর্তমানে তিনি ভুবনেশ্বর এইমসে (Odisha) মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও এক ছাত্রীরও শরীরে মারাত্মকভাবে আগুন লেগেছে।
সহপাঠীদের (Odisha) অভিযোগ, কলেজের ইন্টিগ্রেটেড বি.এড. বিভাগের প্রধান সমীর কুমার সাহুর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই যৌন হেনস্তা এবং মানসিক চাপে রাখার অভিযোগ ছিল। সমীর সাহু নানাভাবে ছাত্রীটির উপর ‘অশোভন দাবি’ চাপিয়ে দিচ্ছিলেন এবং তা না মানলে পরীক্ষার নম্বর কেটে দেওয়া বা ফেল করানোর হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ (Odisha)।
ছাত্রীটি বারবার অধ্যক্ষ দিলীপ কুমার ঘোষ এবং স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ জানান, কিন্তু কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি (Odisha)। কেবল একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও, তা কার্যত অকার্যকরই থেকে যায়। একরাশ হতাশা ও ক্ষোভ জমে গিয়ে সেই ছাত্রী অবশেষে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে গিয়ে নিজেকে আগুন ধরিয়ে দেন (Odisha)।
ওই ঘটনার জেরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। শিক্ষামন্ত্রী সূর্যবংশী সুরজ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টর এবং দু’জন উচ্চপদস্থ মহিলা আধিকারিক। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সমীর সাহুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপ কুমার ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বালেশ্বরের পুলিশ সুপার রাজ প্রসাদ জানিয়েছেন, ধৃত সমীর সাহুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে পেশ করা হয়েছে। ফরেনসিক দলকে তদন্তে নামানো হয়েছে এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি গভীর ও সংবেদনশীল হওয়ায় বহু দিক থেকে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
ছাত্রীটির অবস্থাও অত্যন্ত সংকটজনক বলে এইমস সূত্রে খবর। শিক্ষামন্ত্রী নিজে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনার কথা জানান।