ওডিশার (Odisha) ময়ূরভঞ্জ জেলায় এক ৩১ বছর বয়সী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে করঞ্জিয়া থানা এলাকার একটি নির্জন ধাবায় তাঁকে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে।
পুলিশ (Odisha) জানিয়েছে, ওই মহিলা সেদিন তার মামার বাড়ি গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে পাশের গ্রামে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে, দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে (Odisha) তাঁকে লিফট দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। পরে তাঁরা তাঁকে নির্জন এক ধাবার কাছে নিয়ে যায়, যেখানে তাদের তৃতীয় এক সঙ্গী এসে পৌঁছায় এবং তখন ওই তিনজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
করঞ্জিয়া মহকুমার পুলিশ আধিকারিক নবকৃষ্ণ নায়ক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় (Odisha) একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি দুজন পলাতক। নির্যাতিতার পরিবার বুধবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

এই ঘটনাটি ছাড়াও, গত দুই সপ্তাহে ওডিশার বিভিন্ন জেলায় একের পর এক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠে আসছে। জুন ১৫ তারিখে গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্রসৈকতে এক ২০ বছর বয়সী কলেজছাত্রীকে ১০ জন মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর জুন ১৬ তারিখে কেনঝর জেলার ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
এছাড়া, জুন ১৭ তারিখে ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদা সদর থানার অন্তর্গত এলাকায় এক ৩১ বছর বয়সী মহিলাকে চারজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই মামলায় ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করেছে। জুন ২৩ তারিখে, বেরহাম্পুর শহরে এক ভুয়ো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। গোপালপুর ও করঞ্জিয়া মামলায় ইতিমধ্যে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে এবং অন্যান্য সব ঘটনাতেই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ওডিশা পুলিশ।