Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • মেডিক্যাল কলেজে ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ! কুকুরের কামড়ে হাসপাতালের ভেতরেই রোমহর্ষক দৃশ্য—কে দেবে জবাব?
দেশ

মেডিক্যাল কলেজে ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ! কুকুরের কামড়ে হাসপাতালের ভেতরেই রোমহর্ষক দৃশ্য—কে দেবে জবাব?

north bengal medical college
Email :21

অবিশ্বাস্য, কিন্তু বাস্তব! শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical College) ও হাসপাতালের চত্বরে ঘটল এমন এক ঘটনা, যা শুনলে গা শিউরে ওঠে। দিনের আলোয়, হাসপাতালের ক্যানসার বিভাগ সংলগ্ন এলাকায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ খুবলে খেল একদল পথকুকুর! শরীরের একাধিক অংশ ছিঁড়ে খেয়ে ফেলেছে তারা—এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছেন কর্মী থেকে রোগীর আত্মীয়, প্রত্যক্ষদর্শী প্রত্যেকে (North Bengal Medical College) ।

সকালবেলা যখন সাফাইকর্মীরা প্রতিদিনের মতো কাজে (North Bengal Medical College) এসেছিলেন, তখনই তাঁদের চোখে পড়ে রাস্তার একপাশে পড়ে থাকা সেই মৃতদেহ। কাছাকাছি কয়েকটি কুকুর তখনও দেহটি ঘিরে কামড়াতে ব্যস্ত। এই দৃশ্য দেখে কেউ ভাবতে পারেন, এ কি সত্যিই নামী সরকারি হাসপাতালের (North Bengal Medical College) ভিতরের ঘটনা?

ঘটনার খবর পৌঁছতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়ে চড়ে বসে। তড়িঘড়ি সেই দেহটি সরিয়ে ফেলা হয় হাসপাতাল চত্বর থেকে। পরে এসে উপস্থিত হন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সঞ্জয় মল্লিক (North Bengal Medical College)। তিনি বলেন, “এই কুকুরের সমস্যা বহুদিনের। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। গোটা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে প্রায় দেড়শোরও বেশি পথকুকুর ঘোরাঘুরি করে। রীতিমতো ত্রাস তৈরি হয়েছে।”

অধ্যক্ষ আরও জানান, মৃত ব্যক্তিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন না। হয়তো চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন বা রাত কাটাতে এসেছিলেন এই চত্বরে। কারণ, প্রতিদিন রাতে বহু গৃহহীন মানুষ মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে আশ্রয় নেন। এই ব্যক্তিও হয়তো তাঁদেরই একজন (North Bengal Medical College)।

এই ভয়াবহ ঘটনার পর নতুন করে উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন—একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কীভাবে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে গেল? রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের নিরাপত্তা কতখানি নিশ্চিত? কেন এতবছর ধরে বারংবার জানানো সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে এই কুকুর সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হয়নি (North Bengal Medical College)?

সাধারণ মানুষ এখন একটাই প্রশ্ন করছেন—রাস্তাঘাটে তো কত অসহায় মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই খোঁজেন, যদি এইভাবে হাসপাতালের মতো জায়গায় মৃত্যু হলেও তাঁদের মর্যাদা রক্ষা না হয়, তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে মানবিকতা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts