শনিবার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরির (HuT)-এর কার্যকলাপের তদন্তে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও রাজস্থানের ঝালাওয়ারে একাধিক জায়গায় হানা দেয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA Raid)। মোট পাঁচটি জায়গায় একযোগে অভিযান চালানো হয় — এর মধ্যে তিনটি ভোপালে এবং দুটি ঝালাওয়ারে অবস্থিত।
এই অভিযানে (NIA Raid) বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলিকে এখন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে এনআইএ (NIA Raid)। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, HuT-এর মতো নিষিদ্ধ সংগঠন তরুণ মুসলিম যুবকদের প্রলোভিত করে ধর্মীয় উগ্রবাদে প্ররোচিত করছে এবং সন্ত্রাসবাদে নিয়োগ করছে — এই চক্রান্ত নস্যাৎ করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
এনআইএ (NIA Raid) আরও জানিয়েছে, এখনও তদন্ত চলছে এবং যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে তাদের সম্পূর্ণ গতিবিধি খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগের সপ্তাহেও পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে চক্রান্ত মামলার তদন্তে এনআইএ কাশ্মীর উপত্যকার ৩২টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। সেই তল্লাশি চলাকালীন তারা এমন কয়েকজনের বাসভবনে হানা দেয়, যাদের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে বা যারা ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ হিসেবে কাজ করছে।
এইসব জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ছিল — দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF), ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট জম্মু ও কাশ্মীর (ULFJ&K), মুজাহিদিন গজওয়াত-উল-হিন্দ (MGH), জম্মু ও কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস (JKFF), কাশ্মীর টাইগার্স, PAAF-সহ আরও কয়েকটি সংগঠন, যেগুলি নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-তইবা (LeT), জইশ-ই-মহম্মদ (JeM), আল-বাদর ইত্যাদির শাখা বা ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
জাতীয় তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, এই অভিযানগুলি মূলত জঙ্গি কার্যকলাপের বিস্তার রুখতে এবং জঙ্গিদের সংগঠনের শিকড় উপড়ে ফেলতেই করা হচ্ছে। দেশজুড়ে এমন অভিযানের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট জঙ্গি মডিউলগুলিকে ধ্বংস করাই তাদের উদ্দেশ্য।