পহেলগাঁওয়ে হিন্দুদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) ১৩ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্তরা। সূত্র অনুযায়ী, অন্তত ২৬ জনকে হত্যার পরও জঙ্গিরা কাশ্মীরেই লুকিয়ে রয়েছে (Pahalgam Attack)। সন্দেহ করা হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে আসা মোসা ও তার সহযোগীরা দক্ষিণ কাশ্মীরের কোনো এলাকায় ঘন ঘন অবস্থান বদল করে ঘাপটি মেরে আছে (Pahalgam Attack)।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রশ্নের মুখে রয়েছে গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা—এতদিন পরও কেন ধরা যাচ্ছে না এই জঙ্গিদের? সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তারা চায় অপরাধীদের জীবিত ধরা হোক, তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা পাহাড়ি জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে গেরিলা কায়দায় অপারেশন চালানোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বর্তমানে সেনা তাদের গতিবিধি সীমিত করে দিয়েছে এবং তাদের চারপাশে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, জম্মুর একটি জেলে থাকা রজৌরি হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত ও তাদের এক সহযোগীকে জেরা করছে এনআইএ। তদন্তকারীরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গিরা কোন পথে পালায় এবং কে কে তাদের গা ঢাকা দিতে সাহায্য করে।
তদন্তে উঠে এসেছে, মিসার আহমেদ ও মোসার হোসেন জেল থেকেই পালাতে সাহায্য করেছিল এই জঙ্গিদের। এদের সহায়তাতেই ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি রজৌরিতে আরেকটি হামলা চালানো হয়, যেখানে নাম পরিচয় যাচাই করে নির্দিষ্টভাবে হিন্দুদের হত্যা করা হয়েছিল।