Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “চিনের ভূমি নয়, দলাই লামা হবেন গণতান্ত্রিক দেশের সন্তান!”—তীব্র বার্তা পেমা খান্ডুর, উত্তাল তিব্বত ইস্যু!
দেশ

“চিনের ভূমি নয়, দলাই লামা হবেন গণতান্ত্রিক দেশের সন্তান!”—তীব্র বার্তা পেমা খান্ডুর, উত্তাল তিব্বত ইস্যু!

dalai lama
Email :17

দলাই লামার (Dalai Lama) উত্তরসূরি নিয়ে এবার বড় মন্তব্য করলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী দলাই লামা চিনের ভূমিতে নয়, বরং কোনও স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক দেশে জন্মাবেন। তাঁর কথায়, “চিনে তো গণতন্ত্রই নেই। সুতরাং, দলাই লামার (Dalai Lama) জন্ম সেখানে হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”

তবে পেমা খান্ডু এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, দলাই লামার (Dalai Lama) উত্তরসূরি নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কেবলমাত্র বর্তমান দলাই লামার মৃত্যুর পরে। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী হয়ে বলেন, “এই মুহূর্তে ১৪তম দলাই লামার স্বাস্থ্য অত্যন্ত ভাল। তিনি নিজেই বলেছেন তিনি ১৩০ বছর (Dalai Lama) পর্যন্ত বাঁচবেন। আমরা সকলে সেই প্রার্থনাই করছি।”

পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দলাই লামার (Dalai Lama) নির্বাচন সংক্রান্ত প্রথা ও প্রক্রিয়া পূর্বনির্ধারিত। যদিও তাঁর নিজস্ব জ্ঞানে সেই বিশদ নিয়মগুলি নেই বলে জানান তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “তথ্য অনুযায়ী, পরবর্তী দলাই লামা জন্মাবেন এমন এক দেশে, যেখানে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রয়েছে।”

তাঁকে প্রশ্ন করা হলে যে তিনি কি স্পষ্টভাবে বলতে চাইছেন, চিনে আর কোনও দলাই লামা (Dalai Lama) জন্মাবে না? খান্ডু দ্বিধাহীনভাবে বলেন, “হ্যাঁ, চিন থেকে পরবর্তী দলাই লামা জন্মাবেন না—এটা নিশ্চিত।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যে কোনও দেশ, যেখানে গণতন্ত্র আছে, যেখানে মানুষ তাদের মত প্রকাশ করতে পারেন—সেই দেশই হতে পারে পরবর্তী দলাই লামার (Dalai Lama) জন্মস্থান। এটা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।”

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান দলাই লামার মৃত্যুর পর গাদেন ফোদরাং ট্রাস্ট-ই ১৫তম দলাই লামার অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শুরু করবে। তাই এই মুহূর্তে কোন দেশে তিনি জন্মাবেন, তা নিয়ে জল্পনা অর্থহীন বলেও মনে করেন খান্ডু।

চীনের আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চীন কেন এর বিরুদ্ধে যাচ্ছে, সেটা আমি জানি না। ওদের নিজেদের কিছু রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু ওদের দেশে দলাই লামার কোনও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই। এই প্রতিষ্ঠান হিমালয় বেল্ট ও তিব্বতি বৌদ্ধদের কাছে সম্মানীয়।”

এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কার্যত চিনকে কড়া বার্তা দিলেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts