সপ্তাহের শুরুতেই কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক পর্বে প্রবেশ করল ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক (India pakistan Tension)। সোমবার, সংঘর্ষবিরতির পর প্রথমবারের মতো ডিজিএমও (Director General of Military Operations) স্তরে মুখোমুখি আলোচনায় বসছে দুই দেশের সেনাবাহিনী (India pakistan Tension)। দুপুর ১২টা নাগাদ হটলাইন বৈঠকে অংশ নেবেন ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের তরফে থাকবেন মেজর জেনারেল কাসিফ আবদুল্লা (India pakistan Tension)। তবে জানা গিয়েছে বৈঠকের সময় কিছুটা পিছিয়ে গেছে।
প্রথমে নিরপেক্ষ কোনো স্থানে সরাসরি বৈঠকের কথা ভাবা হলেও, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়, এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে হটলাইনে।
বৈঠকের মূল এজেন্ডা নিয়ে সরকারি স্তরে বিশদে কিছু জানানো না হলেও, কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা মহলের মতে আলোচনা হতে পারে—
সীমান্তে সেনা মোতায়েন কমানো নিয়ে
বারবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনার জবাবদিহি
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ
এবং সিন্ধু জলচুক্তি সংক্রান্ত মতবিনিময়
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তারা সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ দমন ও কাশ্মীর ইস্যুতে কথাবার্তা চলতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ভারত অবশ্য কাশ্মীর নিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে। রবিবার এক যৌথ সেনা বৈঠকে জানানো হয়, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরানোই ভারতের লক্ষ্য।”
এছাড়া ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের কোনওরকম আগ্রাসন সহ্য করা হবে না। অপারেশন ‘সিঁদুরে’ অভিযান কেবল জঙ্গিঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে, সাধারণ নাগরিকদের নয়।
ভারতীয় সেনার অভিযোগ, পাকিস্তান বরং বরাবরই সাধারণ মানুষকে নিশানা করেছে—ড্রোনের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে হামলার চেষ্টা করেছে, যেগুলি ভারত সফলভাবে প্রতিহত করেছে।
সরকারি সূত্রে স্পষ্ট বার্তা: “আর একটিও সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে ভারত তা যুদ্ধের আহ্বান বলেই গণ্য করবে।”
এবার নজর আজকের বৈঠকে—ভারত কূটনৈতিক সমঝোতার পথে হাঁটবে, না কি আরও কঠোর অবস্থান নেবে, তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গোটা দেশ।