ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার নিহত হলেন একজন শীর্ষ নকশাল নেতা (Naxal Leader), যার মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। এই অভিযান চালানো হয় জাতীয় উদ্যান এলাকার গভীর জঙ্গলে, যেখানে গোপন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, একাধিক উচ্চপদস্থ নকশাল নেতা (Naxal Leader) অবস্থান করছেন।
তথ্য পাওয়ার পর, জেলা রিজার্ভ গার্ড (DRG) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)-এর যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। ভোর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান ঘিরে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গুলির লড়াই চলে দীর্ঘ সময় ধরে (Naxal Leader)।
এই সংঘর্ষেই মারা যান সুদাকর নামের (Naxal Leader) এক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি ছিলেন ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড নকশাল নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে বহু রাজ্যে ভয়াবহ হামলার অভিযোগ ছিল। তাঁর মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা।
এই ঘটনা ঘটল ঠিক তখনই, যখন এর আগে মে মাসে ছত্তিশগড়েই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন নকশাল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু। তিনি ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওয়িস্ট)-এর শীর্ষ নেতা। অন্ধকার আবুজমাড় জঙ্গলে DRG-এর নেতৃত্বে চালানো একটি বিশাল অভিযানে তাঁকে নিকেশ করা হয়। এই অভিযানে মোট ৩০ জন নকশাল মারা যায়।
নাম্বালা কেশব রাও ১৯৭০-এর দশক থেকেই নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মাওবাদীদের অন্যতম প্রধান কৌশলবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা। বহু রাজ্যে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপর নৃশংস হামলার সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের পর দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একে ‘নকশালবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দীর্ঘ সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বাসবরাজু ছিলেন নকশাল আন্দোলনের মেরুদণ্ড। প্রথমবারের মতো কোনও সাধারণ সম্পাদক স্তরের নেতা বাহিনীর হাতে নিহত হলেন। এটা দেশের জন্য বড় জয়।”
এই ঘটনার কিছুদিন আগেই, ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় ১৬ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেন, যাঁদের মধ্যে ৬ জনের মাথার দাম ছিল মোট ২৫ লক্ষ টাকা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন। তাঁরা জানান, মাওবাদী মতাদর্শের ফাঁপা ও অমানবিক দিক এবং স্থানীয় আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের জন্য তাঁরা হতাশ হয়ে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন।