গোয়ায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলেন এক যুবক ও যুবতী। কিন্তু সেই স্বপ্নময় সফর শেষ হল এক মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার মাধ্যমে। প্রেমিকের হাতেই প্রাণ গেল প্রেমিকার। গোয়ার জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল যুবতীর ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ (Murder)।
ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ার প্রতাপনগর এলাকায় (Murder) । কর্নাটকের উত্তর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সঞ্জয় কেভিন এম-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রোশনি মোসেস নামের এক যুবতীর। সম্প্রতি দু’জনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিয়ে করবেন। সেই উদ্দেশ্যে তাঁরা দক্ষিণ গোয়ায় যান, পরিকল্পনা ছিল ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের (Murder)।

কিন্তু সেই বিয়ে আর হয়নি। বরং দু’দিন পরই দেখা যায়, সঞ্জয় একাই ফিরে এসেছে বেঙ্গালুরুতে (Murder)। রোশনি কোথায়? তা নিয়ে সন্দেহ শুরু হয়।
সোমবার বিকেলে গোয়ার প্রতাপনগরের একটি জঙ্গল থেকে এক কৃষক একটি রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে, ওই মৃতদেহটি একজন যুবতীর। শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন এবং গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। পরে পরিচয় জানা যায়—এটি রোশনি মোসেসের দেহ।
পুলিশ তদন্তে নামে এবং দ্রুত জানতে পারে, রোশনি তাঁর প্রেমিক সঞ্জয়ের সঙ্গে গোয়ায় গিয়েছিলেন। এরপরই বেঙ্গালুরুতে খোঁজ নিয়ে ২২ বছরের সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় সঞ্জয় স্বীকার করে, গোয়ায় যাওয়ার পর তাঁদের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। সেই রাগের মাথায় দুই দিন আগে সে রোশনিকে গলা কেটে খুন করে এবং দেহটি জঙ্গলে ফেলে রেখে বেঙ্গালুরু ফিরে আসে।
কী কারণে এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিল সঞ্জয়, কেন বিয়ের ঠিক আগে এই নির্মম খুন—তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ রোশনির পরিবার।