Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণে খালাস সবাই! ন্যায়বিচারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর যুদ্ধ ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টে বড় লড়াই
দেশ

মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণে খালাস সবাই! ন্যায়বিচারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর যুদ্ধ ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টে বড় লড়াই

mumbai train blast
Email :4

২০০৬ সালের মুম্বই লোকাল ট্রেন (Mumbai Train blast) বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ১২ জনকে বম্বে হাইকোর্ট সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়ার পর, মহারাষ্ট্র সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস এই রায়কে “চমকপ্রদ ও হতবাক করে দেওয়া” বলে মন্তব্য করেছেন এবং জানিয়েছেন, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে।

সোমবার সাংবাদিকদের (Mumbai Train blast) মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি পুরো রায়টি খুঁটিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। হাইকোর্টের রায় আমরা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করব।”

এর আগে, বিচারপতি অনিল কিলোর ও শ্যাম চাঁদক-কে নিয়ে গঠিত বম্বে হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৫ সালে বিশেষ আদালতের দ্বারা দোষী সাব্যস্ত ১২ জন অভিযুক্তকেই মুক্তি দেয় (Mumbai Train blast)। রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ প্রমাণে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “এমন কোনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পেশ করা হয়নি, যাতে বিশ্বাসযোগ্যভাবে বলা যায় এই ১২ জনই অপরাধে জড়িত ছিল।”

বিচারপতিরা কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ দুর্বল, অসঙ্গতিপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর (Mumbai Train blast)। তারা বলেন, এমনকি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বোমার ধরনও প্রসিকিউশন নির্ধারণ করতে পারেনি। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই মুম্বইয়ে একসঙ্গে সাতটি লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটলে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, আহত হন ৮০০-র বেশি। এই বর্বর হামলায় ভারত জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে (Mumbai Train blast)।

কিন্তু আদালতের মতে, এই ভয়াবহ অপরাধে (Mumbai Train blast) যারা অভিযুক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ ছিল না। অনেক সাক্ষী বছরের পর বছর নীরব থাকার পর হঠাৎ করেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করেন, যা “স্বাভাবিক আচরণ নয়” বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।

আদালত আরও বলে, অনেক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলপ্রয়োগ বা নির্যাতনের মাধ্যমে। ‘টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন প্যারেড’ নিয়েও প্রশ্ন তোলে বেঞ্চ। এই কারণে প্রসিকিউশনের আনা সমস্ত অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেয় আদালত।

মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদন ছিল, এই ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের জন্য দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় যেন বহাল থাকে। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদনও খারিজ করে দেয়। এর পরই সরকার জানিয়ে দেয়, তারা আর বসে থাকবে না—এখন সুপ্রিম কোর্টই হবে শেষ আশ্রয়।

এই রায়ের পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন, ন্যায়বিচার হয়েছে, আবার কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে ১৮০ জন নিহত হওয়ার ঘটনার ন্যায়বিচার কীভাবে হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts