সোমবার সকালে মুম্বইয়ের (Mumbai) গিরগাঁওয়ের ইস্কন মন্দিরে হঠাৎই চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একটি অজানা ইমেল আইডি থেকে পাঠানো হয় বোমা বিস্ফোরণের হুমকি। ইমেলটিতে দাবি করা হয়, মন্দির চত্বরে ৫টি আইইডি বোমা RDX দিয়ে লোড করে রাখা হয়েছে, যা ১৬ ঘণ্টার মধ্যে বিস্ফোরিত হবে—যদি না তামিলনাড়ু সরকার বিভিন্ন কমিটির সুপারিশ কার্যকর করে (Mumbai) ।
এই হুমকির খবর পাওয়ামাত্রই দ্রুততার সঙ্গে নামানো হয় পুলিশ, বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াডসহ গোটা নিরাপত্তা বাহিনী (Mumbai) । মন্দির চত্বর ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। দীর্ঘ সময় ধরে একাধিক জায়গা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। শেষ পর্যন্ত তল্লাশির পর কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক বস্তু মেলেনি বলে জানায় পুলিশ (Mumbai) । তবু আতঙ্কের আবহ কাটেনি।
এই হুমকির প্রেক্ষিতে পুলিশ (Mumbai) একটি মামলা দায়ের করেছে এবং ইমেলটির উৎস সন্ধানে সাইবার বিভাগকে কাজে লাগানো হয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয়। এর আগেও একাধিকবার হিন্দু মন্দির লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে। চলতি মাসেই আমেরিকার উটাহ্ প্রদেশের স্প্যানিশ ফর্কে অবস্থিত বিখ্যাত ইস্কন শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে হামলা হয়। বিশ্বের অন্যতম বড় হোলি উৎসব আয়োজনকারী এই মন্দিরের ওপর চালানো হয় গুলি—রাতের অন্ধকারে প্রায় ৩০টি বুলেট ছোঁড়া হয় মন্দির চত্বর ও ভবনের ওপর, যখন ভেতরে উপস্থিত ছিলেন বহু ভক্ত ও অতিথি।
এই হামলায় মন্দিরের বহু জিনিসপত্র, বিশেষ করে হাতে খোদাই করা আর্চ ও স্থাপত্যের ক্ষতি হয় হাজার হাজার ডলারের। ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের পরিচয় স্পষ্ট হয়নি।
এর আগে ৯ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলস এলাকায় অবস্থিত বোচাসনওয়াসী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামিনারায়ণ (BAPS) মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলসে ঘোষিত হয় তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’। মন্দির কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, এই হামলার সঙ্গে তার সরাসরি যোগ রয়েছে।
পাশাপাশি ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, একইভাবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টো শহরের BAPS শ্রী স্বামিনারায়ণ মন্দিরেও চালানো হয় ভাঙচুর। একের পর এক এই ধরনের ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।