যুদ্ধ মানেই ধ্বংস, প্রাণহানি, অর্থনীতির চরম ক্ষতি (Mock Drill)। তাই কোনও দেশই সহজে যুদ্ধে জড়াতে চায় না (Mock Drill)। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে পরিস্থিতি বদলেছে (Mock Drill)। শত্রুর উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত (Mock Drill)। এই প্রেক্ষাপটে ৭ মে, বুধবার, সারা দেশে আয়োজিত হচ্ছে বড় মাপের অসামরিক মহড়া (Mock Drill)। সাইরেনের শব্দে সতর্কবার্তা দেওয়া হবে, কোথাও কোথাও হবে ব্ল্যাকআউট (Mock Drill)। উদ্দেশ্য—যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে, সেই বিষয়ে বাস্তব অনুশীলন (Mock Drill)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মহড়ায় নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিমান হামলার সময় কী করণীয়, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করা যায়। পড়ুয়া, যুবক-যুবতীদের সক্রিয় ভূমিকা, সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকাজ, স্থানান্তরের ব্যবস্থা—সবই এই মহড়ার অন্তর্ভুক্ত।
কীভাবে কাজ করে যুদ্ধের সাইরেন?
যুদ্ধকালীন সতর্কবার্তা দিতে ব্যবহৃত হয় উচ্চ শব্দবিশিষ্ট সাইরেন। এক একটি সাইরেন ২ থেকে ৫ কিমি পর্যন্ত শোনা যায়। প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ সদর দপ্তর, ফায়ার স্টেশন, জনবহুল এলাকায় উচ্চস্থানে বসানো হয় এই সাইরেন। সাধারণত বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা দেখা দিলে এই শব্দ চালু করা হয়।
সাইরেন বাজলেই কী করবেন?
খোলা জায়গা ত্যাগ করে দ্রুত নিরাপদ ভবনের ভিতরে আশ্রয় নিন।
জানালাবিহীন, পুরু দেওয়াল যুক্ত কক্ষ বা বেসমেন্ট বেছে নিন।
প্রাথমিক চিকিৎসার কিট, জরুরি নথি এবং সামান্য শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন।
ব্ল্যাকআউট: যুদ্ধের এক কৌশল
শত্রু বিমানের নজর এড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম উপায় হল ব্ল্যাকআউট। এই সময় রাস্তার আলো, ঘরের আলো, দোকানপাট—সব কিছু বন্ধ রাখতে বলা হয়। এলাকা ডুবে যাবে ঘোর অন্ধকারে। গাড়ি থাকলে ব্যবহার করুন ন্যূনতম আলো। প্রয়োজনে টর্চ ব্যবহার করা যেতে পারে। রেডিও, টিভির মাধ্যমে সরকারি নির্দেশিকা শুনে চলুন।
সর্বভারতীয় মহড়ার প্রস্তুতি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার দেশের ২৭টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ২৫৯টি জায়গায় মহড়া হবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার ৩১টি স্থানে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
এই মহড়া যুদ্ধের ডাক নয়, বরং যুদ্ধ এলে কীভাবে প্রাণ রক্ষা করা যায়, তারই প্রস্তুতি। তবু প্রশ্ন থেকেই যায়—যুদ্ধ কি আসন্ন? উত্তর সময়ই দেবে। তবে শান্তি বজায় রাখতে, আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি।