বাবা ছিলেন এক বেসরকারি কলেজের অধ্যাপক। ছেলের জন্য অনেক স্বপ্ন ছিল তাঁর— বড় হয়ে সে মানুষের মতো মানুষ হবে, সমাজে মাথা উঁচু করে চলবে (Missing boy)। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না। অপহরণের পর পুড়িয়ে মারা হল ১৩ বছরের নিশ্চিন্তকে। তাঁর পোড়া দেহ মিলল রাস্তার ধারে এক খোলা জায়গায়। ঘটনায় গোটা বেঙ্গালুরু শহরজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও আতঙ্কের ছায়া (Missing boy)।
নিহত নিশ্চিন্ত ছিল পরিবারে একমাত্র সন্তান (Missing boy)। বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত ক্রাইস্ট স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। বুধবার বিকেল পাঁচটার সময় প্রতিদিনের মতোই টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল নিশ্চিন্ত (Missing boy)। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও যখন সে বাড়ি ফিরল না, তখন চিন্তায় পড়েন তার বাবা জে অচিত। ছেলের টিউশন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নির্ধারিত সময়েই নিশ্চিন্ত টিউশন শেষ করে বেরিয়ে গিয়েছে (Missing boy)।
ঘটনার পর আতঙ্কিত মা-বাবা চারপাশে খুঁজতে বের হন। তখনই কাগ্গালিপুরা রোডের এক পার্কের কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায় নিশ্চিন্তের সাইকেল। ঠিক সেই সময়েই আসে এক অজানা ফোন। অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, নিশ্চিন্ত অপহৃত হয়েছে। তাঁকে মুক্তি দিতে হলে দিতে হবে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ।
তড়িঘড়ি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নিশ্চিন্তের মা-বাবা। পুলিশ প্রযুক্তির সাহায্যে ফোন নম্বরের লোকেশন ট্র্যাক করে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু তার আগেই এল ভয়াবহ দুঃসংবাদ— বৃহস্পতিবার রাস্তার ধারে একটি ফাঁকা জায়গা থেকে উদ্ধার হয় নিশ্চিন্তের সম্পূর্ণভাবে দগ্ধ দেহ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের আগেই নিশ্চিন্তকে খুন করে পুড়িয়ে দেয়। যদিও এই ভয়ঙ্কর অপরাধের পিছনে কে বা কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তে নেমেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ, চলছে জোর তল্লাশি ও তথ্য জোগাড়ের কাজ।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় শুধু নিশ্চিন্তের পরিবার নয়, সমগ্র শহর বাকরুদ্ধ। নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। নিছক টাকা? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও গভীর ষড়যন্ত্র? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।