ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড় (Meghalaya Murder)। এই মামলার মূল অভিযুক্ত ও নিহতের স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার একটি ধাবা থেকে সোনমকে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে তিনি গভীর রাতে (Meghalaya Murder) হাজির হয়েছিলেন।
ওই ধাবার মালিক সাহিল যাদব (Meghalaya Murder) জানান, রাত প্রায় ১টা নাগাদ সোনম কাঁদতে কাঁদতে তাঁর ধাবায় আসেন। তিনি জানান, সোনম বলেন যে তাঁর সঙ্গে একটি ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। তাঁর দাবি, মেঘালয়ে কেউ তাঁর গয়না ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করেছিল, সেই সময় তাঁকে আঘাত করা হয় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে যখন জ্ঞান ফেরে, তখন তিনি নিজেকে গাজিপুরে আবিষ্কার করেন, তবে কীভাবে এখানে এলেন তা তিনি জানেন না।

সাহিল আরও জানান, সোনম তাঁর মোবাইল চেয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন। তাঁকে কাঁদতে দেখে সন্দেহ হয় সাহিলের। এরপর তিনি স্থানীয় পুলিশে খবর দেন এবং পুলিশ এসে সোনমকে আটক করে নিয়ে যায়।
এদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনমই নিজের স্বামী রাজা রঘুবংশীর হত্যার ছক কষেছিলেন (Meghalaya Murder)। এই হত্যাকাণ্ডে সোনম ছাড়াও আরও কয়েকজন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোনমের বক্তব্য ও দাবি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। আপাতত সোনমকে গাজিপুরের ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখা হয়েছে এবং তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে মেঘালয়ে চলছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত। তদন্তকারীরা এখন সোনমের বক্তব্য কতটা সত্য, তা যাচাই করতে কাজ করছেন। রাজার মৃত্যুর ১৭ দিন পর সোনমের খোঁজ মেলায় মামলার তদন্তে গতি এসেছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।