ইন্দোরে বিয়ে হয়েছিল সদ্য, তারপর হানিমুনে গিয়েছিলেন রাজা ও সোনম রঘুবংশী (Meghalaya)। গন্তব্য ছিল মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি। কিন্তু সেই হানিমুনই হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর মৃত্যুযাত্রা। একদিনের মাথায় নিখোঁজ হন দম্পতি। কয়েকদিন পর খাদ থেকে উদ্ধার হয় স্বামী রাজার পচাগলা, ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্ত্রী সোনম ছিলেন উধাও (Meghalaya)।
নিখোঁজ যুবতীর খোঁজ মিলল এক সপ্তাহ পরে, তাও মেঘালয় বা ইন্দোরে নয়, উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে। চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে—স্বামীকে খুনের ছক ছিল সোনমের নিজের (Meghalaya)। খুনের জন্য মধ্যপ্রদেশ থেকে চারজন সুপারি কিলার ভাড়া করেছিল সে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সোনমসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। একজন এখনও পলাতক।

সোনম নিজেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে এবং পুলিশকে খবর দিতে বলে। এরপর ইন্দোর পুলিশ গাজিপুর পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে সোনমকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, গত ২২ মে সোনম ও রাজা মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে হানিমুনে যান। পরদিন ২৩ মে থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তারা। ২ জুন উইসাডং পার্কিং লটের নীচে খাদে রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাশেই একটি ধারাল কাটারি পাওয়া যায়।
ঘটনার পর থেকেই পুলিশ সোনমের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। শেষমেশ তাকে ও তিন কনট্রাক্ট কিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলছে জেরা ও তদন্ত।