Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • যে জামা পরে ছিলেন সোনম, সেটিই মিলল খুনের স্থানে! প্রেম-প্রতারণা-পরিকল্পনা—সব মিলিয়ে সিনেমার কাহিনিকেও হার মানাবে!
দেশ

যে জামা পরে ছিলেন সোনম, সেটিই মিলল খুনের স্থানে! প্রেম-প্রতারণা-পরিকল্পনা—সব মিলিয়ে সিনেমার কাহিনিকেও হার মানাবে!

sonam
Email :2

সোহরায় ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে প্রেমের ত্রিভুজকেই একমাত্র (Meghalaya Murder) কারণ হিসেবে মানতে নারাজ মেঘালয়ের পুলিশ। রাজ্যের ডিজিপি ইদাশিশা নংরাং সোমবার জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা এই হত্যাকাণ্ডে আরও অনেক দিক খতিয়ে দেখছেন।

রাজা ও তাঁর স্ত্রী সোনম ১১ মে ইন্দোরে বিয়ে করেন। তারপর ২১ মে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন মেঘালয়ে। ২৩ মে তাঁরা সোহরার নংরিয়াট গ্রামের একটি হোমস্টে থেকে বেরিয়ে যান, এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে ২ জুন ওয়াইসাওডং জলপ্রপাতের কাছে একটি গহ্বরে রাজার পচাগলা দেহ (Meghalaya Murder) পাওয়া যায়।

তদন্তে জানা যায়, স্ত্রী সোনম তাঁর প্রেমিক রাজ ও তিনজন ভাড়াটে খুনির সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। রাজা ও সোনম একসঙ্গে জলপ্রপাতের কাছে গেলে পার্কিং লটে রাজের বন্ধুরা রাজাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং দেহটি নিচে গহ্বরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

meghalaya missing couple
বিয়ের দিন রাজা ও সোনম

সোনম পরে রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যান। ভিন্ন রাজ্যে ঘুরে অবশেষে ৯ জুন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করেন তিনি (Meghalaya Murder) । সেই সময় তাঁর প্রেমিক রাজ এবং তিন খুনিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

ডিজিপি জানান, “আমরা আরও কিছু গভীর বিষয় খতিয়ে দেখছি। বিয়ের ক’দিনের মধ্যেই একজন স্ত্রী কেন এতটা ঘৃণা জন্মাবে স্বামীর প্রতি, সেটাই অবাক করার মতো (Meghalaya Murder)। আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং তদন্তের খুঁটিনাটি গুছিয়ে আনা হচ্ছে।”

তদন্তে উঠে এসেছে আরও তথ্য—রাজের বন্ধুরা বন্ধুত্বের খাতিরেই রাজাকে সাহায্য করে রাজাকে খুন করতে। খুনে ব্যবহার করা দা গৌহাটি থেকে কেনা হয়েছিল। ওই খুনিরা এক রাত সেখানে কাটিয়েও ছিল।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, খুনের দিন সোনম ও রাজা ওয়াইসাওডং জলপ্রপাতের দিকে যাচ্ছিলেন—এই সময়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায়, সোনম সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরে রাজার কয়েক কদম আগে হাঁটছেন। ওই একই জামা কাপড় খুনের স্থান থেকে উদ্ধার হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুরো হত্যাকাণ্ডের পুনর্গঠন করা হবে।

সোনম পরে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, রাজার গহনা তিনি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় লুকিয়ে রেখেছেন। পুলিশ সেটাও খতিয়ে দেখছে।

এই মামলার তদন্তে মেঘালয় পুলিশ ইতিমধ্যেই অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-সহ একাধিক রাজ্যের সাহায্য নিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts