মেঘালয়ের (Meghalaya) চেরাপুঞ্জির সোহরা এলাকায় মধুচন্দ্রিমায় ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনম। ২৩ মে তাঁদের শেষবার দেখা যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন দু’জনেই।
তবে ২ জুন একটি গভীর খাদের মধ্যে রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় (Meghalaya)। এখনও পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী সোনমের কোনও খোঁজ মেলেনি।
এবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন এক পর্যটন গাইড। মাওলাখিয়াত এলাকার গাইড আলবার্ট পডে পুলিশকে জানান, ২৩ মে সকাল ১০টা নাগাদ তিনি রাজা-সোনম দম্পতিকে আরও তিন জন পুরুষ পর্যটকের সঙ্গে মিলে নংরিয়াত থেকে মাওলাখিয়াতের দিকে ৩,০০০ সিঁড়ি ভেঙে উঠতে দেখেন (Meghalaya)।
পডে দাবি করেন, আগের দিন অর্থাৎ ২২ মে তিনি রাজা-সোনমকে গাইডের প্রস্তাব দেন (Meghalaya), কিন্তু তাঁরা অন্য গাইড (ভা ওয়ানসাই) নিয়েছিলেন এবং শিপারা হোমস্টেতে রাত কাটিয়ে ফেরেন।
তিনি (Meghalaya) আরও জানান, “চারজন পুরুষ সামনের দিকে হাঁটছিলেন, মহিলাটি পিছনে ছিলেন। তাঁরা হিন্দিতে কথা বলছিলেন, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি।”
রাজা-সোনমের স্কুটার পরে সোহারিম এলাকা থেকে উদ্ধার হয়, যেখানে চাবি স্কুটারে লাগানো অবস্থাতেই ছিল। সেই জায়গা মাওলাখিয়াত পার্কিং লট থেকে অনেক দূরে।
রাজার ভাই গোবিন্দ জানান, “আমরা এখনও বিশ্বাস করি সোনম বেঁচে আছেন। সরকার যেভাবে খুঁজছে, তাতে মনে হচ্ছে যেন সে মৃত। আমরা চাই কেন্দ্রীয় সংস্থা CBI অথবা অন্য কোনও বিশেষ দল দিয়ে খোঁজ চালানো হোক।”
তল্লাশিতে অংশ নিচ্ছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, পর্বতারোহী, ড্রোন এবং স্নিফার ডগও। তবে ভারী বৃষ্টি, কুয়াশা এবং দুর্গম ভূপ্রকৃতি অনুসন্ধানকে ব্যাহত করছে।
জেলার পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম (Meghalaya) জানিয়েছেন, “গ্যাজেট বা প্রশিক্ষিত কুকুর ছাড়াও আমাদের দল নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। খোঁজ চলবে।”
রাজার দেহ থেকে সোনার আংটি ও গলার চেইন নিখোঁজ ছিল, যা হত্যার সন্দেহ আরও জোরালো করেছে। কাছেই একটি রক্তমাখা দা উদ্ধার হয়, আবার একটি বৃষ্টির কোটও পাওয়া যায়, যেটি সোনমের বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, মাওলাখিয়াত পার্কিং লটে সিসিটিভি নেই, রেজিস্ট্রারও রাখা হয় না। তবে এখন থেকে গাড়ির নম্বর ও পর্যটকদের ফোন নম্বর লিপিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে এসপি-র নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে, যাতে থাকছেন ৪ জন ডিএসপি-ও।