মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে বরকে (Meghalaya Murder) খুন! রাজা রঘুবংশীর হত্যার রহস্য ফাঁস হলো স্ত্রীর রেখে যাওয়া একটি মাঙ্গলসূত্র ও আঙটির সূত্র ধরে। মেঘালয়ের শিলংয়ে পুলিশের তদন্তে উঠে এলো এক ভয়ঙ্কর চক্রান্ত—এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন রাজার স্ত্রী সোনম রঘুবংশী ও তার প্রেমিক।
পুলিশ জানায়, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ১১ মে বিয়ে হয় রাজা (২৯) ও সোনমের (২৫)। ২০ মে গৌহাটি হয়ে তারা মেঘালয়ে (Meghalaya Murder) পৌঁছান মধুচন্দ্রিমায়। ২২ মে তাঁরা সোহরার একটি হোমস্টেতে ওঠেন, কিন্তু কোনো রুম না পাওয়ায় ব্যাগ রেখে নংরিয়াত গ্রামে ট্রেকিংয়ে বেরিয়ে পড়েন। এখানেই রয়েছে বিখ্যাত ‘ডাবল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজ’।
পরদিন ২৩ মে সকালে তাঁরা হোমস্টে ছেড়ে ট্রেক করে ফের সোহরায় ফিরে আসেন এবং সেখান থেকে স্কুটারে (Meghalaya Murder) করে ওয়েসাওডং জলপ্রপাতে যান। সেখানেই তিন ভাড়াটে খুনির উপস্থিতিতে রাজাকে হত্যা করা হয়—এবং সবকিছুর সাক্ষী ছিলেন সোনম নিজেই।
তদন্তে পুলিশ জানায়, সোহরার হোমস্টেতে (Meghalaya Murder) রেখে যাওয়া সোনমের মাঙ্গলসূত্র ও আঙটি থেকেই প্রথম সন্দেহ জাগে। মেঘালয়ের ডিজিপি এল. নংরাং বলেন, “এক বিবাহিত নারী এমন গহনা ফেলে যাওয়ায় সন্দেহ হয়, এবং তখন থেকেই আমরা তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে খুঁজতে শুরু করি।”

আরও জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা ও তিনজন ভাড়াটে খুনিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে (Meghalaya Murder)। সোনম নিজে ৯ জুন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করেন, যেখানে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে একটি বড় সূত্র আসে এক পর্যটক গাইডের বক্তব্য থেকে, যিনি রাজা-সোনম দম্পতিকে তিন হিন্দিভাষী লোকের সঙ্গে একসাথে হাঁটতে দেখেছিলেন ট্রেকিংয়ের সময়।
এখন পর্যন্ত পাঁচ অভিযুক্ত —সোনম, রাজ ও তিন ভাড়াটে খুনি—শিলংয়ের আদালতের নির্দেশে আট দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ জানায়, তারা সবাই অপরাধ স্বীকার করেছে এবং প্রমাণসহ তদন্ত এগিয়ে চলছে।