পাক সেনার নিশানায় এবার জনবসতিপূর্ণ এলাকা (Poonch)। পুঞ্চে লাগাতার গোলাবর্ষণ চলছে। রাস্তায় মোতায়েন হয়েছে ভারতীয় সেনা, চলছে কারফিউ (Poonch)। সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তৈরি করা হয়েছে বাঙ্কার ও মাটির নিচে সুরঙ্গ (Poonch)। পুঞ্চে বড় ধরনের কিছু ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে (Poonch)।
বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা। বাতিল হয়েছে একাধিক উড়ান। এই অবস্থায় লাদাখে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক, যাঁরা বিমানের অভাবে ফিরে যেতে পারছেন না। তাঁদের পাশে দাঁড়াল লাদাখ হোটেল অ্যাসোসিয়েশন।
এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে তারা জানিয়েছে, যাঁরা লাদাখ থেকে ফিরতে পারছেন না, তাঁরা যতদিন না ফ্লাইট পাচ্ছেন, ততদিন নিজ নিজ হোটেলেই বিনামূল্যে থাকতে পারবেন। যেই হোটেলে তাঁরা আগে ছিলেন, সেখানেই মিলবে এই বিশেষ পরিষেবা। এই মানবিক সিদ্ধান্তে প্রশংসা কুড়োচ্ছে হোটেল সংস্থা।
অন্যদিকে, উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত পরিস্থিতি। পাকিস্তানের দাবি, বুধবার রাতভর জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতের তরফে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান নিশানা করেছে ভারতের সাধারণ মানুষকে। সূত্র অনুযায়ী, ইতিমধ্যে পাকিস্তানের হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন মহিলা এবং পাঁচটি শিশু রয়েছে।
পুঞ্চের বাসিন্দারা বলছেন, “১৯৬৫ হোক বা ১৯৭১—কখনও সাধারণ মানুষের ওপর এমন আক্রমণ হয়নি। এবার প্রথম বার হেভি আর্টিলারি ব্যবহার করে নিরীহ জনবসতিকে টার্গেট করা হয়েছে। স্কুল, নার্সারি, বিএড কলেজ পর্যন্ত রেহাই পায়নি। স্থানীয় একটি বাড়ির ওপর সরাসরি বোমা পড়েছে।”
এই আক্রমণকে বাসিন্দারা ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’ নয়, একেবারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেই মনে করছেন। যুদ্ধক্ষেত্রেও যেখানে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিরীহ মানুষকে আঘাত করা অপরাধ, সেখানে পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে ইসলামাবাদকে।