পঞ্চকুলায় এক পরিবারের চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যার (Mass suicide) ঘটনায় উঠে এল আরও ভয়াবহ তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারটি প্রথমে সেক্টর ১২-এ ড. বি. আর. আম্বেদকর ভবনে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। পরে পরিকল্পনা বদলে তারা গিয়ে শেষমেশ সেক্টর ২৭-এ গাড়ির ভিতরেই আত্মহত্যা (Mass suicide)করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সোমবার সকালে সাকেতরির বাড়ি থেকে বেরিয়ে তারা দু’টি রুম ভাড়া নেয় আম্বেদকর ভবনে। সেখান থেকে বিকেল ৬টা ৩৫ মিনিটে বেরিয়ে যায়। পুলিশ বলছে, হয়তো ভবনে আত্মহত্যার (Mass suicide) পরিকল্পনা থাকলেও কোনো কারণে তারা সেই জায়গা বদলায়। এরপর তারা সোজা সেক্টর ২৭-এ যায়। সেখানেই একটি রেসিডেনশিয়াল এরিয়াতে গাড়ি পার্ক করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদের মধ্যে ছিলেন— প্রবীণ মিত্তল (জীবিত উদ্ধার হলেও পরে মারা যান), তাঁর বাবা দেশরাজ (৭০), মা বিমলা মিত্তল (৬৬), স্ত্রী রীনা (৪০), ছেলে হার্দিক (১৩), জমজ মেয়ে দিলাশা ও ধ্রুভিতা (১১)।
গাড়ির ভিতর পাওয়া দুটি সুইসাইড নোটে প্রবীণ লেখেন, ভয়াবহ আর্থিক দুরবস্থার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। কাউকে দোষ দেওয়া হয়নি।
পুলিশ বলছে, পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে সমাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিল, আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগও ছিল খুব কম। বিভিন্ন সময়ে তারা পিঞ্জোর, খারার, দেরাদুনে থেকেছেন, শেষে সাকেতরিতে আসেন। প্রবীণের ব্যবসা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল—বাড্ডিতে স্ক্র্যাপ প্রসেসিং ইউনিট, দেরাদুনে ট্র্যাভেল ব্যবসা—সব জলে গেছে। শেষ জীবনে তিনি ড্রাইভারের কাজ করতেন, মাথায় ছিল কয়েক কোটি টাকার ঋণের বোঝা।
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, সব সদস্য একই সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।