মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক মহিলা সরকারি আধিকারিকের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল প্রশাসনিক মহলে। তাঁর দাবি, স্বামী—যিনি নিজেও একজন সরকারি কর্মচারী—বেডরুম এবং বাথরুমে গোপনে স্পাই ক্যামেরা লাগিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলি রেকর্ড করতেন। শুধু তাই নয়, সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে পণের দাবিতে হেনস্থা করতেন বলেও অভিযোগ (Maharashtra) ।
অভিযোগকারিণীর কথায়, স্বামী তাঁর উপর নিয়মিত শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাতেন (Maharashtra) । গাড়ির ঋণ বাবদ দেড় লক্ষ টাকা ছিল বাকি, আর সেই টাকার জন্যই নিত্যদিন স্ত্রীকে চাপে রাখা হত। বারবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত, এবং তাতে অস্বীকার করলেই শুরু হত মারধর (Maharashtra) ।
চরম পর্যায়ে গিয়ে স্বামী বাথরুম এবং শোওয়ার ঘরে লাগিয়ে দেয় গোপন ক্যামেরা (Maharashtra) । অভিযোগ, সেই স্পাই ক্যামেরায় স্ত্রীর গোপন মুহূর্ত রেকর্ড করে রাখতেন অভিযুক্ত, আর সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পণ আদায়ের চেষ্টা করতেন। এমন আচরণ দিনের পর দিন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।
এই ঘটনায় শুধু স্বামী নয়, তাঁর মা ও তিন বোনের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকেও ওই মহিলার উপর নানাভাবে মানসিক চাপ তৈরি করা হত।
পুলিশ ইতিমধ্যেই একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। তদন্তে নেমে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এটা শুধুই পারিবারিক হিংসার ঘটনা নয়, এখানে প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে নারীর গোপনতা ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। বিষয়টি খুবই গুরুতর।”
এই ঘটনায় প্রশাসনিক মহলেও রীতিমতো আলোড়ন উঠেছে। সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এমন জঘন্য অভিযোগ নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অনেকেই।