Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • “নগ্ন করে মারধর, জোর করে গয়না আদায়!” – পুলিশের বিরুদ্ধে রায়, বিচার পেলেন রাজিনীকান্ত!
দেশ

“নগ্ন করে মারধর, জোর করে গয়না আদায়!” – পুলিশের বিরুদ্ধে রায়, বিচার পেলেন রাজিনীকান্ত!

judagement
Email :14

সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে দুই তামিলনাড়ু পুলিশের আবেদনে খারিজ করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের (SHRC) ২০১৮ সালের আদেশকে বহাল রেখেছে। এই আদেশে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে এক ব্যক্তিকে বেআইনি হেফাজতে নেওয়া, শারীরিক নির্যাতন ও জোর করে গয়না আদায় করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল (Madras High Court)।

আদালত (Madras High Court) তার রায়ে উল্লেখ করেছে, “পুলিশ কর্মীদের উচিত মানুষের সম্মান রক্ষা করা, বৈষম্য এড়ানো এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। মানবাধিকার সম্পর্কিত নিয়মকানুন মেনে চললে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে, ক্ষমতার অপব্যবহার কমবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। মানবাধিকার রক্ষা করেই একজন পুলিশ কর্মী তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও মর্যাদা বজায় রেখেই।”

২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজিনীকান্ত নামের এক ব্যক্তি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হন, যা ম৩ পুজল থানায় নথিভুক্ত হয়েছিল। পরে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, হেফাজতে রেখে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় এবং জোর করে তার কাছ থেকে সোনা আদায় করা হয়। এরপর থানার বাইরে নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করা হয়। রিমান্ডের সময় বিচারকের (Madras High Court) সামনেও তিনি নির্যাতনের অভিযোগ জানান।

২০১৮ সালে SHRC তদন্ত করে জানায়, অভিযোগগুলি বিশ্বাসযোগ্য (Madras High Court)। কমিশন রাজ্য সরকারকে রাজিনীকান্তকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে এবং অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার – ইন্সপেক্টর ডি বাবু রাজেন্দ্র বোস ও সাব-ইন্সপেক্টর এস মণির কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা করে আদায়ের সুপারিশ করে। ২০২২ সালে সরকার সেই সুপারিশ গ্রহণ করে সরকারি আদেশ জারি করে।

এরপর বোস ও মণি সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। তারা অভিযোগ করেন যে, SHRC তদন্তে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, যথেষ্ট প্রমাণ নেই এবং তাদের প্রাকৃতিক বিচারাধিকার (natural justice) লঙ্ঘিত হয়েছে।

কিন্তু বিচারপতি জে নিশা বানু এবং এম জোতিরামনের বেঞ্চ বলেন, মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ ভারতীয় মানবাধিকার আইন, ১৯৯৩-এর ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক এবং কার্যকরযোগ্য। আদালত উল্লেখ করে যে, পুলিশ কর্মকর্তারা ২০১৮ সালের আদেশের বিরোধিতা তৎক্ষণাৎ করেননি। তারা কেবলমাত্র ২০২২ সালে সরকার আদায়ের নির্দেশ জারি করার পর এই আইনি পদক্ষেপ নেন।

আদালত ‘আবদুল সাত্তার বনাম প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি’ মামলার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায় উল্লেখ করে জানায়, SHRC-র সুপারিশ কেবল পরামর্শ নয়, তা বিচারিক রায়ের সমান এবং তা অবজ্ঞা করা যায় না।

এই রায়ের মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হল—পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য এবং দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts