মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) কৈলাশ মাকওয়ানা সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। তিনি (Madhya Pradesh) জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পুলিশের পক্ষে ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়। সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের অবাধ ব্যবহার এবং অ্যালকোহলের সহজলভ্যতাই ধর্ষণের ঘটনার বৃদ্ধির মূল কারণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উজ্জয়িনীতে (Madhya Pradesh) এক বিভাগীয় পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। আমার মতে, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতা, মদ্যপান, অতিরিক্ত সংযুক্ততা এবং সমাজে ক্রমবর্ধমান নৈতিক অবক্ষয় এর পিছনে বড় ভূমিকা রাখছে।’’
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন v, ‘‘শুধু পুলিশ ধর্ষণের মতো অপরাধ বন্ধ করবে—এমনটা ভাবা বাস্তবসম্মত নয়। আগে দেখা যেত শিশু-কিশোরেরা তাদের শিক্ষক এবং বাবা-মায়ের কথা শুনত, কিছু লজ্জা ও সংযম ছিল। এখন সেই সীমারেখাগুলি আর নেই।’’

ডিজিপি মাকওয়ানা (Madhya Pradesh) আরও জানান, অল্প বয়সেই ছেলেমেয়েরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই অশ্লীল কনটেন্টে প্রবেশ করছে, যা তাদের মানসিক বিকৃতি ঘটাচ্ছে। ‘‘এই অবাধ অশ্লীলতাই তরুণ মনগুলোকে বিভ্রান্ত করছে, যার ফলেই ধর্ষণের মতো অপরাধ বাড়ছে,’’ তিনি বলেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ধর্ষণ ভারতের অন্যতম সাধারণ নারী নির্যাতনের অপরাধ হিসেবে পরিচিত। সমালোচকরা বহুবার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, আইনি জটিলতা এবং সামাজিক ট্যাবু-কে দায়ী করেছেন, যার ফলে বিচার পেতে ভুক্তভোগীদের অনেক সময় লেগে যায়।
মধ্যপ্রদেশ হোম ডিপার্টমেন্টের পরিসংখ্যান অনুসারে, রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা ২০২৪ সালে ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে ২০২০ সালে ৬,১৩৪টি ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল, সেখানে ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭,২৯৪।