ভারতের বিরুদ্ধে বড়সড় পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের (Madam N Spy Network) পর্দা ফাঁস হলো। ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা ও জসবীর সিং-এর মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনায় উঠে এসেছে এক পাকিস্তানি নারীর নাম—নওশাবা শাহজাদ মাসুদ, যিনি ‘ম্যাডাম এন’ নামে পরিচিত।
গোয়েন্দা সংস্থার মতে, নওশাবা পাকিস্তানের ISI-র হয়ে কাজ করে এবং ভারতে স্লিপার সেল তৈরির জন্য ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করছে। এই কেলেঙ্কারির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো তাঁর ট্রাভেল এজেন্সি—‘জয়নিয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম’, যার মাধ্যমে তিনি ভারতে ৫০০ জনের একটি স্পাই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
নওশাবার টার্গেট ছিল মূলত হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তিনি দিল্লি সহ একাধিক শহরে নিজের এজেন্টদের মাধ্যমে তাঁর ভ্রমণ সংস্থার প্রচার চালাতেন। সেইসঙ্গে এই এজেন্টদের ব্যবহার করে পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করাতেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
গত ৬ মাসে প্রায় ৩,০০০ ভারতীয় ও ১,৫০০ প্রবাসী ভারতীয়কে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন এই Madam N Spy Network-এর মাধ্যমে। পাকিস্তান হাই কমিশনের ভিসা বিভাগের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ ছিল। বিশেষ করে ভিসা সেক্রেটারি সুহেল কামার, ট্রেড কাউন্সেলর উমর শেরিয়ার ও আইএসআই অফিসার দানিশের সাহায্যে সহজে ভিসা মঞ্জুর করা হতো।
এছাড়া, শিখ ও হিন্দু তীর্থযাত্রীদের পাকিস্তান সফরের আয়োজনের সময় তিনি বেশি টাকা নিতেন এবং সেই অর্থ পাকিস্তানি প্রচার ও গুপ্তচর কার্যকলাপে ব্যবহার করতেন। তাঁর মোবাইল নম্বর ধৃত ইউটিউবারদের ফোনেও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি, ভারত থেকে টাকা পাঠানোর জন্য দুটি পাকিস্তানি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যও মিলেছে, যার তদন্ত চলছে।
এই ঘটনায় ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং এবং জ্যোতি মালহোত্রা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর এই Madam N Spy Network-এর মতো গুপ্তচর চক্রের বিরুদ্ধেই বড় অভিযান শুরু করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ।