মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলায় ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ও বিভীষিকাময় ঘটনা। সন্দেহ, রাগ ও প্রতিহিংসার বশে এক যুবক তাঁর লিভ-ইন পার্টনার (Live in Partner) এবং তাঁর তিন বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অনুজ বিশ্বকর্মা বেশ কিছুদিন ধরে রামসখী কুশওয়াহা নামের এক যুবতীর সঙ্গে লিভ-ইন (Live in Partner) সম্পর্কে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে থাকত রামসখীর ছোট্ট মেয়ে। সম্পর্কের শুরুতে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও, বিগত কিছুদিন ধরে তাঁদের মধ্যে ক্রমাগত বিবাদ চলছিল (Live in Partner)। প্রতিবেশীরাও তাঁদের ঝগড়াঝাঁটির সাক্ষী থাকলেও, এত বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা কেউই করেননি।
ঘটনার দিন রাতে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান রামসখী (Live in Partner)। পরদিন সকালে ভাড়াবাড়ির মালিক সন্দেহবশত ঘরে উঁকি মারতেই চমকে ওঠেন। পুলিশ এসে ঘরের দরজা খুলে দেখে, মেঝেতে পড়ে আছে রামসখী এবং তাঁর তিন বছরের শিশুকন্যার নিথর দেহ (Live in Partner)। দেওয়ালে লাল লিপস্টিকে লেখা, “ও আমাকে মিথ্যা বলত। অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। মেরে দিয়েছি।”
এই দৃশ্য দেখে তদন্তকারীরা স্তম্ভিত হয়ে যান। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, অনুজ প্রথমে শ্বাসরোধ করে রামসখীকে খুন করে। এরপর হয়তো শিশুটি চিৎকার শুরু করায় তাকেও হত্যা করে সে।
খুনের পর পুরো রাত মৃতদেহগুলির পাশেই কাটায় অভিযুক্ত যুবক। এতটা হিংসা, শক ও স্নায়ুবিক বিকারের মিশেল বিরল বলেই মনে করছে তদন্তকারী দল।
খুনের পিছনে কেবল প্রেমঘটিত দ্বন্দ্ব, সন্দেহ ও প্রতারণা বোধ কাজ করেছে নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর কোনও কারণ—তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে, অনুজের মানসিক স্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা। মানসিক রোগের ইতিহাস রয়েছে কি না, তারও খোঁজ চলছে।
পুলিশ অভিযুক্তকে খুঁজছে এবং খুব শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।