নির্বাচনে আরজেডির বড় ধাক্কার পর এবার লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Yadav) পরিবারেই যেন ভাঙনের ঝড়। একসময় যাদের একসঙ্গে দেখলে মনে হতো বিহারের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক পরিবার—এখন সেই একই পরিবারের সন্তানরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন প্রকাশ্যে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, লালু নিজেই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, তাঁদের পরিবার সত্যিই ভেঙে যাচ্ছে। রাজনীতির জগতের ‘পিতামহ ভীষ্ম’-এর মতো এখন তিনি শুধু দেখছেন, শুনছেন আর আশা করছেন—সব সমস্যা ঘরোভাবেই একদিন মিটে যাবে (Lalu Yadav)।
বিহার নির্বাচনে আরজেডির পরাজয়ের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে যাদব পরিবার। লালুর বড় মেয়ে রোহিণী আচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, তাঁকে নাকি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে, এমনকি জুতিও তোলা হয়েছিল তাঁর দিকে (Lalu Yadav)। যদিও তিনি কারও নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবুও তাঁর অভিযোগে রাজনৈতিক মহল সরগরম হয়ে ওঠে।
এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। লালুর আরও তিন মেয়ে—রাজলক্ষ্মী, রাগিনী ও চান্দা—হঠাৎই সন্তানসম্ভবা পরিবার নিয়ে পাটনার বাড়ি ছেড়ে দিল্লিতে চলে যান (Lalu Yadav)। সেই মুহূর্তেই স্পষ্ট হয়ে যায়, অন্তত চার মেয়ে তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ দুই aide—সঞ্জয় যাদব ও রামিজ নেমাত খানের বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফুঁসছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের সময় আরজেডির টিকিট বণ্টন নিয়েই মূল সমস্যা। রোহিণী ও তাঁর বোনদের মতামত নাকি গুরুত্ব পাননি তেজস্বী (Lalu Yadav)। আর তার জেরেই তৈরি হয়েছে অভ্যন্তরীণ রেষারেষি। নবনির্বাচিত আরজেডি বিধায়কদের বৈঠকে তেজস্বীকে আবারও দলের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সেই বৈঠকেই তিনি নাম না করে রোহিণীকে খোঁচা দিয়ে বলেন, পরিবারকে খুশি রাখার চেয়ে দলের স্বার্থ আগে।
সন্তানদের এহেন প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের মুখে লালু প্রসাদ যাদব এখন যেন অসহায়। তিনি বলেন, পরিবারে সমস্যা আছে—এটাই সত্যি। তবে “ঘরের সমস্যা ঘরেই মিটবে”—এই বার্তাই দিয়েছেন তিনি। তাঁর চোখে আশা—কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে পরিবার আবার একসঙ্গে ফিরবে।









