কলকাতার (Kolkata) এক আইনজীবীর কাছে তাঁর স্ত্রীর জন্য কেনা স্মার্টফোনের উপহারটি রীতিমতো দুঃস্বপ্নে পরিণত হল, যখন গুজরাট পুলিশের এক দল অফিসার হঠাৎ Salt Lake-এ তাঁদের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে। অভিযোগ—আইনজীবীর স্ত্রীর ব্যবহৃত সেই ফোনটি একটি বড়সড় সাইবার অপরাধের তদন্তে জড়িয়ে রয়েছে! এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে দুই রাজ্যের মধ্যে যৌথ তদন্ত, যার মাধ্যমে সামনে আসছে একটি সম্ভাব্য ভয়ংকর চক্র—যেখানে সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত ফোন নতুন হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে নিরীহ ক্রেতাদের কাছে (Kolkata)।
ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের শুরুতে। আইনজীবী ওই স্মার্টফোনটি কেনেন কলকাতার (Kolkata) মিশন রো এক্সটেনশনের একটি নামী দোকান থেকে। ফোনটি ছিল পুরোপুরি সিল করা, সঙ্গে জিএসটি ইনভয়েসও ছিল। দেখতে ও কাগজপত্রে পুরোপুরি নতুন বলেই মনে হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে বিবাহবার্ষিকীর উপহার হিসেবে স্ত্রীকে সেই ফোন দেন তিনি (Kolkata)।
কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর, রাজকোট পুলিশের এক দল অফিসার কলকাতায় এসে তাঁদের বাড়িতে হাজির হন। তাঁরা জানিয়ে দেন, আইনজীবীর স্ত্রীর হাতে থাকা ফোনটির IMEI নম্বর একটি সাইবার অপরাধের মামলায় জড়িত বলে শনাক্ত হয়েছে। অনলাইন প্রতারণায় সেই ফোন ব্যবহৃত হয়েছিল বলেও দাবি করেন তাঁরা ।
এই অভিযোগে হতবাক হয়ে যান ওই দম্পতি। তাঁরা স্পষ্ট জানান, সম্পূর্ণ বৈধভাবে দোকান থেকে ফোনটি কিনেছেন এবং কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। এরপর আইনজীবী হেয়ার স্ট্রিট থানায় ফোন বিক্রেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা পরে স্থানান্তরিত হয় বৌবাজার থানায়, কারণ দোকানটি সেই এলাকার অন্তর্গত।
পুলিশ ইতিমধ্যেই দোকানদার ও ফোনের ডিস্ট্রিবিউটরের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে দোকানের কাগজপত্রে কোনও বড় অসঙ্গতি না পাওয়া গেলেও তদন্তকারীদের নজর এখন সরাসরি ডিস্ট্রিবিউটরের দিকে।
জব্দ করা হয়েছে ওই ফোনটি। পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য, যাতে বোঝা যায়—ফোনটির আসল মালিকানা কার, ফোনটি পুনরায় ব্যবহার বা মেরামত করে নতুন করে প্যাক করা হয়েছিল কি না।
তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা, না কি একটি বড় চক্রের অংশ। কারণ, যদি এটি কোনও সংঘবদ্ধ চক্র হয়, তবে তা সাধারণ মানুষদের জন্য মারাত্মক বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেন, “মানুষ ভাবছেন তাঁরা নতুন ফোন কিনছেন। কিন্তু সেই ফোন হতে পারে অপরাধমূলক কার্যকলাপের সরঞ্জাম—যা ভবিষ্যতে তাঁদের আইনি বিপদের মুখে ফেলতে পারে।”