কেরালার (Kerala) পালক্কাড় জেলার শ্রিকৃষ্ণপুরমে সেন্ট ডোমিনিক কনভেন্ট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ছাত্রী, আশির নন্দা, গত ২৩ জুন নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় (Kerala) । পরিবারের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের মানসিক নির্যাতনের কারণেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার (Kerala) নম্বর কম হওয়ার কারণে আশিরকে শ্রেণি পরিবর্তন করে অন্য একটি বিভাগে বসানো হয়েছিল, যা তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। আরও অভিযোগ, তাকে একটি চিঠি লিখতে বলা হয়েছিল যাতে বলা থাকবে—যদি পরীক্ষার ফল ভালো না হয় তবে সে আবার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার জন্য রাজি (Kerala) ।
ঘটনার পর আশির অত্যন্ত ভেঙে পড়ে এবং বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলে জানান তার স্বজনেরা। কিছুক্ষণ পরেই বাড়িতে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে v। এক প্রতিনিধি জানান, “আমরা কখনও তাকে পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি। শুধু বলেছিলাম, তাকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে, যা আমাদের নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া।”
এই ঘটনা এলাকায় প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। দায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
ছাত্র আন্দোলনে (Kerala) নামার ঘোষণা দিয়েছে বামপন্থী সংগঠন স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI)। তারা স্কুল অভিমুখে মিছিলের ডাক দিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্কুলে এক জরুরি বৈঠক ডাকা হয়, যেখানে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবক এবং পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় উঠে আসে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।