চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আয়োজিত আরসিবি-র সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পদদলনের ঘটনায় কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka) বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করে রাজ্য সরকারকে নোটিস জারি করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে (Karnataka) ।
আদালতের সামনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল শশিকিরণ শেট্টি জানান, ঘটনার দিন স্টেডিয়ামে ১,০০০-র বেশি পুলিশ (Karnataka) মোতায়েন করা হয়েছিল, যার মধ্যে সিটি পুলিশ কমিশনার, ডিসিপি এবং এসিপি পর্যায়ের অফিসাররাও ছিলেন।
তবে একদিন আগেই কর্ণাটকের (Karnataka) উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার দাবি করেছিলেন, ওই দিন ৫,০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এই দুটি তথ্যের মধ্যে ফারাক নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে।
হাইকোর্টের (Karnataka) বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাক্টিং চিফ জাস্টিস ভি কামেশ্বর রাও এবং বিচারপতি সিএম জোশি, বলেন— “উৎসবের মানসিকতা থেকে শুরু হয়েছিল, কিন্তু তা শেষ হয়েছে এক গভীর ট্র্যাজেডিতে। এই ঘটনার কারণ ও প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ জানতে আমরা এটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে গ্রহণ করছি।”
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দিন পর্যাপ্ত সংখ্যক জলবাহী ট্যাঙ্কার, অ্যাম্বুলেন্স, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ভ্যান উপস্থিত ছিল। আগের যেকোনো ম্যাচের তুলনায় প্রস্তুতি অনেক বেশি ছিল বলেও দাবি করা হয়।
তবু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় কারণ ২.৫ লাখেরও বেশি লোক সেখানে জড়ো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মনে করেছিলেন, স্টেডিয়ামে ফ্রি এন্ট্রি থাকবে।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ৩৫,০০০। সাধারণত ৩০,০০০ টিকিটই বিক্রি হয়। কিন্তু ওই দিন মানুষের ঢল এতটাই ছিল যে দুপুর থেকেই ব্যাপক ভিড় জমতে শুরু করে।