কর্ণাটকের (Karnataka) দক্ষিণ কন্নড় জেলার মাঙ্গালুরুতে কংগ্রেস দলের সংখ্যালঘু নেতারা একে একে পদত্যাগ করলেন। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের অবহেলা এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির অভিযোগ তুলে এই প্রতিবাদে তারা এই সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার মাঙ্গালুরুর (Karnataka) বোলার এলাকায় শাদী মহল-এ এক জরুরি সভায় একাধিক সংখ্যালঘু কংগ্রেস নেতারা প্রকাশ্যে দলীয় পদ ছেড়ে দেন। এই আন্দোলনের পেছনে মূল কারণ—এই সপ্তাহেই ৩২ বছর বয়সি আব্দুল রহমানের নির্মম খুন।
বান্তওয়াল তালুকে কাজ চলাকালীন, রহমান এবং তার সহকর্মী কালান্দার শাফিকে একদল দুষ্কৃতকারী মোটরবাইকে এসে কুপিয়ে আক্রমণ করে (Karnataka)। রহমান ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান, শাফি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনাটি ঘটে এমন এক সময়ে, যখন সম্প্রতি (১ মে) ওই একই জেলায় হিন্দু কর্মী সুহাস শেঠিরও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরপর এমন ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল এই জেলা।
এই ঘটনার পর রাজ্য কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক এম এস মোহাম্মদ, জেলা সহ-সভাপতি কে আব্দুল রউফসহ একাধিক শীর্ষ নেতা দলীয় মঞ্চ থেকেই পদত্যাগ ঘোষণা করেন। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এই সহিংসতা রুখতে। মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ও নিরাপত্তার দাবি বারবার জানানো হলেও সরকার তা একেবারেই উপেক্ষা করেছে।
সভায় সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শাহুল হামীদ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাদের অনুরোধ করেছেন এক সপ্তাহ সময় দিতে। কিন্তু নেতারা জানান, “কমিউনিটিকে বছরের পর বছর ধরে অবহেলা করা হচ্ছে, আর এক সপ্তাহ নয়—এখনই সময় প্রতিবাদের।” সেই কারণেই তারা সরাসরি পদত্যাগের পথ বেছে নেন।
তৃণমূল স্তর থেকে শুরু করে রাজ্যস্তরের বহু কংগ্রেস সংখ্যালঘু নেতা ও কর্মীরাও এই বিক্ষোভে যোগ দিয়ে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই গণ-পদত্যাগে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন প্রবল চাপে। সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক রক্ষা করতে না পারলে ২০২৪-২৫ নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা বাড়ছে।