কর্ণাটকের গাদাগ জেলার নারায়ণপুরা গ্রামের এক নারীর রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড় এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করায় এক ২৬ বছরের তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন (Murder) করা হয়েছিল এবং তার মৃতদেহ একটি জলের ধার ঘেঁষে পুঁতে রাখা হয়। অভিযুক্তের নাম সতীশ হিরেমাঠ (বয়স ২৮), যিনি একই গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, ছয় মাস আগে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় (Murder) এবং এখন অভিযুক্ত স্বীকার করেছে তার অপরাধ।
পুলিশ জানায়, মৃতা মধুশ্রী আঙ্গাড়ি প্রায় ছয় বছর ধরে সতীশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু যখন পরিবারের লোকজন এই সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন মধুশ্রীকে গাদাগ শহরে আত্মীয়ে

র বাড়িতে পাঠানো হয়।
২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে মধুশ্রী আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি (Murder)। প্রায় এক মাস পর, ১২ জানুয়ারি বেতাগেরি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
তদন্তে উঠে আসে, নিখোঁজের রাতে সতীশ মধুশ্রীকে নারায়ণপুরা সংলগ্ন একটি ফার্ম হাউসে নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ে নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। পুলিশ জানায়, সেই সময় রাগের মাথায় সতীশ তার ওড়না দিয়ে মধুশ্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা (Murder) করে এবং পরে একটি স্রোতের ধার ঘেঁষে তার দেহ পুঁতে রাখে।
এরপর দীর্ঘ ছয় মাস সতীশ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে। সে একটি পেট্রল পাম্পে কাজ করত এবং দাবি করে, সে নাকি ওই রাতে মধুশ্রীকে শহরের বাইরে নামিয়ে দিয়ে চলে আসে। কিন্তু মধুশ্রীর মোবাইল ফোনের অবস্থানগত তথ্য পুলিশের সন্দেহ উস্কে দেয়।
গাদাগ জেলার পুলিশ সুপার বি.এস. নামেগৌড়া জানান, “তার মোবাইল ফোনের পিং দেখিয়েছিল যে সে শেষবার ছিল এমন একটি জায়গায় যা সতীশের বক্তব্যের সঙ্গে মেলেনি। প্রযুক্তিগত তথ্য আমাদের অন্য ছবি দেখিয়েছে।”
এই অসামঞ্জস্য এবং ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদের চাপে সতীশ শেষ পর্যন্ত অপরাধ (Murder) কবুল করে এবং পুলিশকে মৃতদেহ যেখানে পুঁতে রাখা হয়েছিল সেই স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে থেকে কঙ্কালের কিছু অংশ উদ্ধার হয়েছে, যদিও মাথার খুলি এখনো পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ফরেনসিক পরীক্ষা চালানো হচ্ছে মৃতার পরিচয় এবং মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করার জন্য। এদিকে সতীশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পুলিশ তার রিমান্ড চাইছে যাতে আরও প্রমাণ ও তথ্য উদ্ধার করা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, “সে এমনভাবে মৃতদেহ (Murder) পুঁতে রেখেছিল যাতে কেউ জানতে না পারে। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম মধুশ্রী হয়তো পালিয়ে গেছে, কিন্তু দু’জনের কেউই আর কোনও যোগাযোগ না করায় সন্দেহ বাড়তে থাকে। ধৈর্য ধরে তদন্ত চালিয়েই অবশেষে রহস্যভেদ সম্ভব হয়েছে।”
তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।