কর্ণাটকের (Karnataka) হাসান জেলায় একের পর এক হৃদরোগে মৃত্যুর ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতঙ্ক। গত এক মাসে সেখানে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে, যার মধ্যে ৬ জনের বয়স মাত্র ১৯ থেকে ২৫ বছর এবং আরও ৮ জন ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সি। এই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সামনে আসার পর থেকেই মাইসুরু এবং বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত জয়দেব কার্ডিয়াক হাসপাতাল ভিড়ে উপচে পড়ছে (Karnataka)।
হাসপাতাল চত্বরে সকাল হতেই দেখা যাচ্ছে লম্বা লাইন (Karnataka)। শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন শুধুমাত্র হার্ট চেক-আপ করানোর জন্য। কেউ আসছেন হাসান থেকে, কেউ বা আশপাশের জেলা থেকে। ভয় আর গুজব মিলিয়ে মানুষ যেন ছুটছেন হাসপাতালে হৃদরোগ রোধে আগাম সতর্কতা নিতে (Karnataka)।
এই প্রসঙ্গে জয়দেব হাসপাতালের মাইসুরু শাখার মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ড. কে এস সদানন্দ বলেন, “মিডিয়ায় যেভাবে খবর প্রকাশিত হচ্ছে, মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছুটে আসছেন। কিন্তু শুধু একবার চেক-আপ করিয়ে নেওয়া সমস্যার সমাধান নয়। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “সবাই যদি জয়দেভেই ভিড় করেন, তাহলে প্রকৃত হৃদরোগীদের চিকিৎসা বিঘ্নিত হবে (Karnataka)। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও চেক-আপ করানো যায়। শুধু গুজবে কান দেবেন না।”
জয়দেভ হাসপাতালের বেঙ্গালুরু শাখায়ও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা— প্রায় ৮ শতাংশ বেশি রোগী ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, বেশিরভাগ রোগীই আসছেন হাসান এবং আশেপাশের জেলা থেকে।
এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই হাসানের ঘটনাগুলিকে আলাদা করে ‘কেস স্টাডি’ হিসেবে খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি। জয়দেভ ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার সায়েন্সেস-এর ডিরেক্টর ড. কে এস রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে এই কমিটি তৈরি হয়েছে এবং সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
এই রিপোর্টে ভবিষ্যতের জন্য বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।