Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • ‘ধর্ষণ, খুন, গণকবর’—এই সব রটনায় আগুন, এবার আদালতের স্টেপ! ধর্মস্থলা মঠকে রক্ষা করতে ৩৩৮ জনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ
দেশ

‘ধর্ষণ, খুন, গণকবর’—এই সব রটনায় আগুন, এবার আদালতের স্টেপ! ধর্মস্থলা মঠকে রক্ষা করতে ৩৩৮ জনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ

dharmastala
Email :3

ধর্মস্থলা (Dharmastala) মঠ, এর ধর্মগুরু ডঃ ভিরেন্দ্র হেগ্গড়ে, তাঁর ভাই ডি হর্ষেন্দ্র কুমার এবং তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হর্ষেন্দ্র কুমার। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরুর ১১ নম্বর অতিরিক্ত সিটি সিভিল ও সেশনস কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা (Dharmastala) জারি করেছে।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বা সংবাদমাধ্যম বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম—কোনওভাবেই ওই মঠ (Dharmastala) , হেগ্গড়ে পরিবার বা তাঁদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে কোনও “মানহানিকর, ভিত্তিহীন” তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করতে পারবে না। সমস্ত ছাপা, সম্প্রচারিত ও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট, ভিডিও বা খবর বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে যা প্রকাশিত হয়েছে, তা মুছে ফেলা বা ইন্টারনেট সার্চ থেকে ডি-ইনডেক্স করার নির্দেশও জারি হয়েছে(Dharmastala) । পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৫ আগস্ট।

এই মামলায় হর্ষেন্দ্র কুমার ৩৩৮ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহেশ শেট্টি তিমারোদি, গিরীশ ম্যাটান্নভার এবং ইউটিউবার এম ডি সামির। তিনি আদালতে দাবি করেছেন, একটি প্রাক্তন সাফাইকর্মীর এফআইআরের সূত্র ধরে তাঁদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপবাদ রটানো হচ্ছে (Dharmastala) ।

সেই FIR অনুযায়ী, ওই সাফাইকর্মী অভিযোগ করেন যে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তাঁকে একাধিক নারী ও শিশুর মৃতদেহ গোপনে দাহ ও কবর দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল, এবং এর নেপথ্যে ছিল কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি, যাঁরা ধর্মস্থলা মঠের সঙ্গে যুক্ত। যদিও FIR-এ হর্ষেন্দ্র কুমার বা তাঁর পরিবারের নাম নেই, তবু সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবের একাংশে তাঁদের বিরুদ্ধেই অভিযানের ঝড় উঠেছে বলে দাবি তাঁর।

তাঁর অভিযোগ, অতীতেও ২০১২ সালের একটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাঁর নাম টেনে আনা হয়েছিল, কিন্তু সিবিআই তদন্তের পরে চার্জশিটে সনথোষ রাও নামে একজনকে অভিযুক্ত করা হয় এবং তিনি বিচারপর্বে খালাস পান। সেই মামলাতেও তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনও সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে আদালত মান্যতা দেয়।

এই মামলা ও নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, “যদি এই ধরনের মানহানিকর মন্তব্য করতে দেওয়া হয়, তবে মঠ, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানগুলির যে ক্ষতি হবে, তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এমনকী পরবর্তীতে মামলা জেতার পরও এই ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে না।” তাই আদালতের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া উপায় ছিল না।

হর্ষেন্দ্র কুমার মামলায় জানিয়েছেন, তিনি এমন একটি শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক সংস্থার সম্পাদক, যেখানে ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কর্মরত এবং ৪৫ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী শিক্ষা পাচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, এইসব ভিত্তিহীন অপপ্রচার শুধু ব্যক্তিগত সুনাম নয়, প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও ধ্বংস করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts