কর্ণাটকের (Karnataka) চিক্কাবল্লাপুর জেলার গৌরিবিদনুর তালুকের বিদুরাশ্বত্থ এলাকার অশ্বত্থনারায়ণ মন্দিরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল এক ‘ঘর ওয়াপসি’ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে আগে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করা ১৫টিরও বেশি পরিবার হিন্দুধর্মে পুনরায় ফিরে এলেন। ধর্মান্তর থেকে ফেরার এই বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি (Karnataka) নেতা রবিশ্রী রেড্ডি। পূজাপাঠ, হোম-হবন সহ একাধিক হিন্দু ধর্মীয় আচার পালন করে সম্পন্ন হয় এই ‘ঘর ওয়াপসি’।
নাগসন্দ্রা, গান্ধীনগর, কাদিরেনহল্লি ও কডিগেনহল্লি (Karnataka) —এই চারটি গ্রামের পরিবারগুলি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। দীর্ঘ সময় পরে ধর্মে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে, সে বিষয়ে বিশদে কিছু না জানা গেলেও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মহলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক।
উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি বছরের মার্চ মাসেই দক্ষিণপন্থী যুব সংগঠন ‘যুবা ব্রিগেড’-এর (Karnataka) প্রতিষ্ঠাতা চক্রবর্তী সুলিবেলে মাঙ্গালুরুতে এক হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলেন, “এখন সময় ঘর ওয়াপসি নিয়ে কথা বলার। লাভ জিহাদ নয়, এখন দরকার হিন্দুধর্মে প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ।” তিনি আরও বলেন, যুব সমাজকে এই কাজে প্রশিক্ষিত করতে হবে, যাতে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে এই প্রচার চালাতে পারেন।
তাঁর (Karnataka) এই বক্তব্য ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। ধর্মান্তরের নামে উস্কানি দিচ্ছেন সুলিবেলে—এমন অভিযোগ ওঠে বিরোধীদের তরফে। যদিও সুলিবেলের সমর্থকরা বলছেন, এটা আসলে আগের ধর্মান্তরকে ‘প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ মাত্র।
এই ঘটনার জেরে কর্ণাটকে আবারও সামনে উঠে এল ধর্মীয় পরিচয় ও ধর্মান্তর নিয়ে বিতর্ক। সরকারি স্তরে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক মহলে এই ইস্যুকে ঘিরে যে তরজা শুরু হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।