কর্ণাটকে (Karnataka) আজ থেকেই রাজ্য জুড়ে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা নিষিদ্ধ হয়েছে হাই কোর্টের নির্দেশে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার মাঝেও অনলাইনে আলোচনার ঝড় উঠেছে—লোকজন বলছেন, কিছু রাইড শেয়ারিং অ্যাপ যেন চাতুরীর মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি লিখেছেন, “কর্ণাটক (Karnataka) হাই কোর্ট বাইক ট্যাক্সি নিষিদ্ধ করায় এখন Rapido আপনাকে ‘পার্সেল’ বানিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে!” অনেকে এই নতুন “Bike Parcel” পরিষেবাকে আইনকে ফাঁকি দেওয়ার একটা পন্থা বলেই মনে করছেন।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বেঙ্গালুরু (Karnataka) সাউথের সাংসদ পি সি মোহন। তিনি বলেন, “বাইক ট্যাক্সি নিষিদ্ধ হয়েছে হাই কোর্টের নির্দেশে। কিন্তু কিছু অ্যাপ এখন ‘বাইক পার্সেল’ নামে সেই পরিষেবাই চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ কি এখন আইনি ফাঁক দিয়ে চলা অ্যাপগুলোর জন্য পার্সেল হয়ে গেলেন?”
অনেকে মজা করেও লিখেছেন, “Uber আর Rapido এখন বাইক ট্যাক্সি-কে ‘বাইক পার্সেল’ বলে চালাচ্ছে। বাহ! চালাকি কাকে বলে!”
মূলত, কর্নাটক (Karnataka) সরকার আগে থেকেই বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা নিষিদ্ধ করেছিল যেহেতু তার কোনও সুনির্দিষ্ট আইনগত কাঠামো নেই। সেই সিদ্ধান্তকেই সম্প্রতি সমর্থন করেছে হাই কোর্ট। তাই Ola, Uber Moto, Rapido-এর মতো সংস্থাগুলির বাইক পরিষেবা এখন বেআইনি।
তবে এই ‘বাইক পার্সেল’ ব্যবস্থা আসলেই চালু হয়েছে কিনা, নাকি এটি শুধুই একটি ইন্টারনেট মিম বা ঠাট্টা—সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। সংস্থাগুলির তরফ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতেই বেঙ্গালুরুতে ট্রান্সপোর্ট দফতরের অভিযান শুরু হয়েছে। রাজাজিনগর, যশবন্তপুর-সহ একাধিক এলাকায় বাইক জব্দ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে ‘নাম্মা বাইক ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন’। তারা বলেছে, “বাইক ট্যাক্সি শুধু অতিরিক্ত উপার্জন নয়, এটা আমাদের বাঁচার পথ।”
তাদের দাবি, এক লাখের বেশি গিগ কর্মী এই পেশার উপর নির্ভরশীল। তাই সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বদলে দিল্লি বা তেলেঙ্গানার মতো একটি নিয়ম মেনে পরিচালনার দাবি জানানো হয়েছে।












